গুরুতর চোট পেয়ে এসএসকেএমে ভর্তি মমতা, “সিমপ্যাথির পলিটিক্স” বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার
নন্দীগ্রামে প্রচার করতে গিয়ে ৪-৫ জনের ধাক্কায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ নন্দীগ্রামে প্রচার করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বিরুলিয়া মন্দির থেকে বেরোনোর পর তাকে চার-পাঁচজন ধাক্কা দিয়েছে এবং তাতে মুখ্যমন্ত্রীর গুরুতর চোট পায়। ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের বাকি কর্মসূচি বাতিল এবং তাকে নিয়ে বর্তমানে গ্রিন করিডোর করে কলকাতা এসএসকেএম অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্ট এ আনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বারংবার মুখে হাতে জল দেওয়া হচ্ছে। আসলে ধাক্কার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর পা গাড়ির দরজায় গিয়ে ঠুকে যায়। ঘটনার পর থেকেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে গিয়ে আঘাত পাওয়া নিয়ে গোটা বঙ্গ রাজনৈতিক মহলের পরিবেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরোধীপক্ষ বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর চোটকে সহানুভূতি আদায় করার নাটক বলে অভিহিত করেছে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেছেন, ৩০০ পুলিশ মমতা নিরাপত্তায় থাকে। এছাড়া তাঁর যাতায়াতের রাস্তায় প্রায় ৪০০০ পুলিশ থাকে। বললেই হবে বাইরে থেকে লোক এসে ধাক্কা দিয়ে দিয়েছে। সহানুভূতির নাটক করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিথ্যা বলে সিম্প্যাথি নেয়ার চেষ্টা। উনি বরাবর নাটক করে।
অন্যদিকে একই সুরে গলা মিলিয়েছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সংঘর্ষ করেছেন। আর ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনদিন নন্দীগ্রামে তিনি যায়নি। নন্দীগ্রামের শিল্পোন্নয়ন হয়নি। তিনি জানেন যে ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি ভোটে হেরে যাবেন। তাই সহানুভূতির পলিটিক্স খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী। উনি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মানুষের সহানুভূতি ছাড়া আর কিছু পাবেন না। সত্যিটা হল বাংলার কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী তার ওপর হামলা করার হিম্মত নেই।”