আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির বাজিমাত করতে নির্ভর করছে মুকুল রায়ের ওপর। ২০১৯ এর ধারা অব্যাহত রেখে ২০২১ এ যদি কেউ বিজেপিকে মমতার বিরুদ্ধে জেতাতে পারে তা হল একমাত্র মুকুল রায়। কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে পুনরায় বাংলার পর্যবেক্ষক পদে বসিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু বিজেপির এই সিদ্ধান্তে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আদেও কি খুশি? বা মুকুল রায় বাংলার প্রধান হলে দিলীপ ঘোষের ভবিষ্যৎ কী?
সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জে পি নাড্ডা গত শুক্রবার ঘোষণা করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলার পর্যবেক্ষক পদে থাকবে আগের মতই। তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আবার পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর মাধ্যমেই বোঝা গেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আসল উদ্দেশ্য কি। আসলে মুকুল রায়কে বাংলা নির্বাচনে কাজে লাগানোর জন্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আবার বাংলার পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
এর আগে মুকুল রায় বিজেপিতে ছ-মাসেরও বেশি নিস্ক্রিয় ছিলেন। তখন অমিত শাহের দূত হয়ে এসে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ই মুকুল রায়কে ফের ফ্রন্টফুটে এনেছিলেন। তারপর দিল্লির বৈঠকে গিয়ে মুকুল রায়ের জুটেছিল সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ। এরপর আসন্ন বাংলা নির্বাচনে মুকুল রায়কে কাজে লাগাতে গেলে অবশ্যই কৈলাস বিজয়বর্গীউর প্রয়োজন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, কৈলাস মুকুল জুটিকে মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তে হয়তো অনেকটাই ক্ষুব্দ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ব্যাপার নিয়ে দিলীপ ঘোষ শিবিরে চলছে চাপা ক্ষোভ। এখানে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তাহলে বাংলার গেরুয়া শিবিরে দিলীপ ঘোষ এর ভবিষ্যৎ কি হবে?