দেশনিউজপলিটিক্সরাজ্য

Babul Supriyo: ‘এই তৃণমূল আর না’ ত্রিপুরায় তৃণমূলের হয়ে বাবুলের সভার মাঝেই বেজে উঠল সেই গান

Advertisement

ত্রিপুরায় আর পুরভোটের বেশি দেরী নেই। এই ভোটকে পাখির চোখ করে তৃণমূলের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৫ শে নভেম্বর আগরতলা কর্পোরেশন সহ ত্রিপুরার ২০ টি পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন। সেখানে প্রচারের জন্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, সায়নী ঘোষরা। এখন ত্রিপুরার নানান জায়গায় চলছে প্রচার কাজ। চলছে সাধারণ মানুষকে তৃণমূলের ধর্মে দীক্ষিত করার প্রচেষ্টা।

শুক্রবার ঘাসফুল শিবিরের হয়ে প্রচার সভায় উপস্থিত বিজেপি ত্যাগী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় , তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষেরা। বড় আড়ম্বরপূর্ণ সভা না হলেও, আগরতলার রামনগর এলাকায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তপন দত্তর সমর্থনে চলছিল এইদিনের পথসভা। এদিন এই পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব, তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ, নেতা সুবল ভৌমিক সহ অনেকেই। এই সভায় যখন সায়নী ঘোষ যখন নিজের বক্তব্য রাখতে শুরু করেন, তখনই
বিজেপি শিবিরের প্রচার ট্যাবলো একাধিক মাইক লাগানো অবস্থায় বিজেপির প্রচার গাড়ি যাচ্ছিল। সেখানেই বাজানো হচ্ছিল, বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গান, “এই তৃণমূল আর না, আর না” গানটি।

একটা সময় যে দলের বিরুদ্ধে লড়তেন, নেতৃত্বদের আক্রমণ করতেন, ঝাঁঝালো গানও গেয়েছিলেন, আর আজ সেই বাবুল সুপ্রিয়ই কিনা গিয়ে ধরলেন শাসকদলের হাত! আর আবার তৃণমূলের ভরা সভায়, তাঁর সামনেই কিনা বেজে উঠল ২০১৯ সালে বিজেপির লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য তাঁরই গাওয়া গান ‘এই তৃণমূল আর না আর না!’ কতোটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সেই সময় তৈরী হয় বাবুলের পক্ষে। আর হবেনা কেন। কয়েকদিন আগে গায়ক পুরোনো দলের সাথে সব সম্পর্ক ছেড়েছেন। ছেড়েছেন লোকসভার সদস্য পদ। সেই গায়ক এখন প্রাক্তন সাংসদ হয়ে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অন্যতম প্রধান সৈনিক। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে তাকে ত্রিপুরায় প্রচারে পাঠিয়েছে বর্তমান দল। সেখানে প্রচারে নেমেও গায়ককে শুনতে হল, তার পুরনো দলের হয়ে গাওয়া গান আর তাতে তো একটু চমকে যাবে।

তখনই সায়নী ঘোষকে প্রকাশ্যে বলতে শোনা যায়, আরে এই গাড়ি এখানে কেন? যাই হোক বাজাও বাজাও। মানুষ আমাদের সাথেই আছে। আর তার পরেই বাবুল উঠে দাঁড়িয়ে সায়নীর হাত থেকে মাইক নিয়ে বলেন, “সায়নী দারুণ জোশের সাথে কথা বলে। আপনারা সবাই আমার মতো ওঁর কথা শুনবেন৷ তবে আমার ভালো লাগছে আমরা গ্রাস রুট থেকে শুরু করেছি। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে মানুষের সাথে কথা বলতে পারছি। ভেবে দেখুন কতটা অহঙ্কার থাকলে বা যারা বড় নেতা তারা দলের কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে এরকমটা হয় আপনারা ভাবুন। ওই দলটার নেতাদের কতোটা অহং, সেটা ভেবে দেখুন একবার। যিনি এই গানটা বানিয়েছিলেন, আজ সেইই ওই দল ছেড়ে দিদির সঙ্গে রয়েছেন। বিজেপি যত এই গান বাজাবে, তত বেশি লোক গেরুয়া ছেড়ে সবুজে আসবে’।

Related Articles

Back to top button