আইপিএস অফিসারের তারকা স্ত্রী তৃণমূলের প্রার্থী, কমিশনে দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির
লাভলী মৈত্র বিজেপিকে পাল্টা দিয়ে বলেছেন যে ভারতীয় জনতা পার্টি মেয়েদের নিজের পরিচয়টুকু বাঁচিয়ে রাখতে দিতে চায় না
গত শুক্রবার রাজ্যের শাসক দল তাদের একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। প্রার্থী তালিকা তারকাদের ক্ষুণ্ণ করেছে বহু তৃণমূল নেতাদের। দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একাধিক নেতা নেত্রী বিক্ষোভ জানিয়েছেন এবং আবার অনেকেই গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া অন্যদিকে দলীয় সমস্যা বাদ দিলে প্রায় প্রতি মুহূর্তে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। তবে এবার জলনুপুর খ্যাত অভিনেত্রী লাভলী মৈত্রের বিধানসভা নির্বাচনে আসন পাওয়া নিয়ে তীব্র জলঘোলা হয়েছে।
টেলি অভিনেত্রী লাভলী মৈত্রের নাম যে সবার কাছে খুব একটা পরিচিত না তা বলাই বাহুল্য। তিনি বহুদিন আগে জল নুপুর নামক এক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। তারপর থেকে তেমনভাবে আর অভিনয় জগতে তাকে পা রাখতে দেখা যায়নি। সে একদম এই নির্বাচন প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। আর যোগদান করে তারকা হওয়ার ফায়দা উঠিয়ে প্রার্থী হয়ে গেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে তাকে সোনারপুর দক্ষিণের প্রার্থী করা হয়। তবে তার স্বামী পেশায় আইপিএস অফিসার হওয়ায় বিরোধীরা তার প্রার্থী হওয়ার তীব্র সমালোচনা করে। একজন সরকারি আমলার স্ত্রী কি করে নির্বাচনী টিকিট পেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
গেরুয়া শিবিরের এই প্রসঙ্গে বিদ্রুপ করে জানিয়েছেন, “রাজ্যে আর আইন বলে কিছুই নেই। আইপিএস অফিসারের স্ত্রী তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে যাচ্ছে। আমরা ঘটনার প্রতিবাদ করে কমিশনের দ্বারস্থ হব।” তবে অভিনেত্রী বিজেপিদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, “আমি যে পুলিশ সুপারের স্ত্রী, এটা আমার একমাত্র পরিচয় না। প্রত্যেকটা মেয়ের তাদের নিজস্ব একটি পরিচয় আছে। আমারও তো আছে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি মেয়েদের সম্মান করে না। তারা মেয়েদের নিজস্ব পরিচয়টুকু মুছে ফেলতে চায়। এটি অত্যন্ত নোংরা রুচির পরিচয়।”