এবারে বর্ধমানের সভা করতে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা (JP Nadda)। ডায়মন্ড হারবারে একমাস আগে তার একটি কর্মসূচি ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে তার কনভয়ের উপরে হামলা হয়। ইট, পাটকেল পাথর ছোড়া হয় তা কনভয় উদ্দেশ্য করে। এই ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এই বিতর্কে জল গড়ায় একেবারে দিল্লী পর্যন্ত এবং রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত আরম্ভ হয়।
ওই আক্রমণে আহত হয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। এবারে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার কনভয়েতে যেন কোন রকম হামলা না করা হয় এইবারে। এদিন তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আগেরবারের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এইবারে কিন্তু বিজেপি বুঝে নেবে। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব। তাই সেটিকে পালন করতে হবে রাজ্যকেই।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরো বলেছেন,” আইন-শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তার দায় সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকারের উপর বর্তায়। তাই তারা যদি নিরাপত্তা ঠিকমত না দেয়, তাহলে আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেদের করে নিতে হবে। আমাদের কর্মকর্তারাই যথেষ্ট এর জন্য। আমার বিশ্বাস, সরকার এরকম ভুল আর করবে না। যদি এরকম ভুল আবারো হয় তবে আমরা জবাব দেব।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) ও রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বর্ধমানের যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং প্রশাসন। ডায়মন্ড হারবারে পুলিশের সামনে হামলা হবার পরে আবারও প্রত্যন্ত গ্রামে কর্মসূচি স্বার্থে আসছেন জেপি নড্ডা। তার সাফ বার্তা, তৃণমূলের হামলা এবং সন্ত্রাসের জন্য আমরা ভীত নই। যদি বর্ধমান এ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এবং প্রশাসন কে দায়ী থাকতে হবে।
রাহুল আরো বলেন,”নিরাপত্তা ভরসায় আমরা রাজনীতি করছি না। এই হামলা সিপিএম করত। এখন সিপিএমের রাস্তায় তৃণমূল হাঁটতে শুরু করেছে। সিপিএমের থেকেও তৃণমূলের খারাপ অবস্থা হতে চলেছে এবারে।”