দেশনিউজপলিটিক্স

Tripura Municipal Election: ত্রিপুরায় বিজেপি বাজিমাত করলেও তৃণমূলের নজরকাড়া ফলাফল,’ খেলা শুরু’র বার্তা অভিষেকের

Advertisement

রবিবার সকাল থেকেই গোটা দেশের নজর ছিল ত্রিপুরার পুরভোটের গণনার ফলাফলের ওপর। এদিন সকাল থেকেই হাইভোল্টেজ এই নির্বাচনের ফল নিয়ে তুমুল উৎসাহ ছিল বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএমের। আগরতলা পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পৌর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে এই নির্বাচন হয়েছে। এরমধ্যে ১১২টি আসনে অন্য কোনও দল প্রার্থী না হওয়ায় সেই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। প্রথম থেকেই তৃণমূলের পাখির চোখ ছিল আগরতলা। ফলাফলে তৃণমূলকে বহু পিছনে রেখে দেয়। তবে বিজেপি এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দল। ভোট শতাংশের বিচারে সিপিএমকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল যা এই দলের আশা।

ত্রিপুরায় নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর এদিন বিজেপিকে নিশানা করে প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবাত্রে ত্রিপুরা পুরভোটে অব্যাহত গেরুয়া ঝড়। পুরসভা যে ত্রিপুরার শাসকদলের দখলেই তা আর বলতে হবে না। ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২৯ টিতেই জিতেছে বিজেপি। তবে খাতা খুলতে সমর্থ হয়েছে তৃণমূলও। তবে আমাবসায় একটি আসন দখল করে দ্বিতীয় স্থানে ঘাসফুল শিবির। এই জয়ের পরই টুইট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ট্যুইটে লেখেন, “তিনমাস ধরে বিজেপি যেভাবে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, তারপরও এই ফলাফল ব্যতিক্রমী। ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার। আমাদের সৈনিকরা যে সাহসিকতা নিয়ে লড়াই করেছেন, তার জন্য তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন!” এরপরই তিনি বাংলায় লেখেন – ‘সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে।’

অন্যদিকে ত্রিপুরায় পুরভোটের ফল স্পষ্ট হতেই রবিবার বিকেল প্রথম টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন ত্রিপুরার ফলাফলকে তিনি ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘তৃণমূল ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশি ভোটও এসেছে ঘাসফুল শিবিরের ঝুলিতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গড়ে ২৪ শতাংশ ভোটপ্রাপ্তি হয়েছে তৃণমূলের। যদিও এই হিসেবনিকেশের অঙ্ক পুরোটাই দলের। এখনও চূড়ান্ত ফলাফল হাতে আসেনি।’

এদিকে, ত্রিপুরার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিপুরায় স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি। তা হলে আরও বেশি ওয়ার্ডে ঘাসফুল জয়ী হতে পারত।” তাঁর মতে, এত বিরোধিতার মধ্যেও যেভাবে তৃণমূল প্রধান বিরোধী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে, তা নিঃসন্দেহে ত্রিপুরার শাসকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর মতো। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এদিন বলেছেন, ‘বারবার ত্রিপুরার মানুষকে আক্রমণ করা, আজই তারই জবাব দিয়েছে ত্রিপুরাবাসী। সমস্ত ত্রিপুরাবাসীর এই জিৎ। আর যারা ত্রিপুরাবাসীকে লাগাতার অপমান করেছেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছে ত্রিপুরা।’

Related Articles

Back to top button