দেশনিউজ

সাধ্যের মধ্যেই হবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা, বাজারে আসছে এই অব্যর্থ ওষুধটি

মাত্র ১২০০ টাকা মূল্যেই এই রোগের ওষুধ পাওয়া যাবে এবারে

Advertisement

ভারতে বর্তমানে শুধুমাত্র করোনাভাইরাস নয় একইভাবে নিজের দাপট দেখাতে শুরু করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সারা ভারতের পাশাপাশি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেও বহু মানুষ এই কালো ছত্রাকের আক্রমণে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ। এই ছত্রাকটি নিয়ে বর্তমানে সাধারণ মানুষের চিন্তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এবার থেকে আর এই রোগ নিয়ে এতটা চিন্তা করতে হবে না। বাজারে চলে এসেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জীবনদায়ী ওষুধ। যদিও এই ওষুধটি আগে থেকেই বাজারে উপলব্ধ ছিল কিন্তু সেই সময় এই ওষুধটির দাম অনেক বেশি ছিল। তাই সবাই কিন্তু এই ওষুধটা কিনতে পারতেন না, পাশাপাশি এই ওষুধের প্রোডাকশন খুব একটা বেশি ছিল না।

কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জীবনদায়ী মেডিসিন অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইমুলসানের ইনজেকশন উৎপাদন করতে শুরু করে দিয়েছে মহারাষ্ট্রের জেনেটিক লাইফ সাইন্স। আশা করা হচ্ছে, এবার থেকে এই ওষুধ অনেকটা কম দামে বাজারে উপলব্ধ হবে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এমনকি যাদের দেহে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের দেহে এই ছত্রাকের আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল বেশি। এতদিন পর্যন্ত এই ছত্রাক এর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ওষুধের সাপ্লাই ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, এবার থেকে সাধ্যের মধ্যেই এই ওষুধ কিনতে পারবেন আপনারা যারা এই রোগে আক্রান্ত হবেন। কিন্তু কত হবে এই ওষুধের দাম?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি সংস্থা এই ওষুধ তৈরি করে এসেছে এবং সেই ওষুধ মিলত ৭,০০০ টাকা মূল্যে। কিন্তু এবারে এই মেডিসিন ইনজেকশন বাজারে ১,২০০ টাকা মূল্যে উপলব্ধ হবে বলে জানা গিয়েছে। আগে শুধুমাত্র একটা সংস্থার কাছে এই ওষুধের উৎপাদনকারী লাইসেন্স ছিল বলে এ ওষুধের দামটা এতটা বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে একাধিক সংস্থা এই ওষুধ তৈরি করছে, ফলে একদিকে যেমন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে তেমনি ওষুধের দামও সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার এই ওষুধটি বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে ভারতে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করার আদেশ দিয়েছেন।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গের মধ্যে আছে সাইনাসের ব্যথা, মুখ অসাড় হয়ে আসা, নাকের চারপাশ কালো হয়ে যাওয়া, দাঁতে ব্যথা, ঘোলাটে দৃষ্টি, ত্বকের ক্ষত, রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেধে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা। যারা দীর্ঘদিন ধরে আই সি ইউ তে ছিলেন, যারা সম্প্রতি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন, এবং যাদের দেহে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগটি বেশি ভাবে আক্রমণ করতে পারে। এছাড়াও যারা নিয়মিত স্টেরয়েড গ্রহণ করেন, ম্যালিগেন্সি, ভেরিকোনাজলথেরাপি ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে এই ব্ল্যক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি অনেক বেশি।

Related Articles

Back to top button