অবাক করা ফিচার নিয়ে হাজির BMW ই-স্কুটার, শীঘ্রই লঞ্চ হতে চলেছে বাজারে
আসছে BMW CE-04 ই-স্কুটার, জেনে নিন ফিচার
এবার টেস্ট ড্রাইভ করে প্রকাশ্যে এলো জার্মান টেক জায়ান্ট বিএমডব্লু মোটরডের বৈদ্যুতিক স্কুটার। দীর্ঘদিন ধরে বৈদুতিন গাড়ি তৈরির উপর বিশেষ নজর দিয়েছে এই সংস্থা। ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে এই গবেষণাতে প্রথম সাফল্য সংস্থার তৈরি BMW CE-04 electric scooter। ২০১৭ সালে বিএমডব্লু তাদের এই প্রথম কনসেপ্ট মডেল লঞ্চ করে। এরপর দীর্ঘ এতগুলি বছর বিএমডব্লু এটি নিয়ে কাজ করে। কাজ প্রায় শেষ। খুব শিঘ্র বিএমডব্লু এই মডেল লঞ্চ করবে।
কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছিল BMW Motorrad- এর নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার CE 04- এর একটি ছবি। সেখানে দেখা গিয়েছিল, বেশ ভিড় রাস্তায়, অন্যান্য গাড়ির মধ্যেই টেস্ট ড্রাইভ চলছে এই ই-স্কুটারের। বিএমডব্লু- এর এই ইলেকট্রিক স্কুটারের ডিজাইন দেখে মনে হবে যেন ডুকাটি স্পোর্ট ১০০০ Biposto মডেলের অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে CE 04।
এই মডেলটি বিএমডব্লু -র প্রথম বৈদ্যুতিক মডেল। জানা গেছে, এতে রয়েছে ১০.২৫ ইঞ্চি টিএফটি টাচস্ক্রিন ক্লাস্টার। যেটি ম্যাপ নেভিগেশনের সুবিধা রয়েছে। ডেস্টিনেশন দেওয়া থাকলে ম্যাপ আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে । এছাড়া ব্যাটারির অবস্থা, গাড়ির স্পিড, রেঞ্জ সহ সমস্ত তথ্য ফুটে উঠবে ওই স্ক্রিনে। এছাড়াও ফোন আসলেও সেখান থেকে অপারেট করা সম্ভব। বাইকে রয়েছে LED হেড লাইট। পুরো বাইকটির ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে স্কেটবোর্ডের মতো। স্কুটারটি চালানোর সময় যাতে রাইডার যাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সেজন্যে থাকছে এক গুচ্ছ সুবিধা। সিটের মধ্যে ও থাকছে একগুচ্ছ সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে বড় সাইজের সাইড প্যানেল, কমপ্যাক্ট ফ্রন্ট অ্যাপ্রন, পর্যাপ্ত স্টোরেজ কমপার্টমেন্ট রয়েছে এই ইলেকট্রকি স্কুটারে। রয়েছে ইইএসবি-সি চার্জিং পোর্টের সঙ্গে মোবাইল ফোন চার্জিংয়ের আলাদা কম্পার্টমেন্টও।
এছাড়াও জানা গেছে নর্মাল প্লাগে মাত্র ৪ ঘন্টাতে পুরো চার্জ হয়ে যায়। ফাস্টার চার্জারে এটিকে চার্জ দিলে মাত্র ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটে পুরো চার্জ হয়ে যাবে CE 04। তিনটে মোড রয়েছে স্কুটারটিতে। Eco, Rain and Road-এই তিনট্টি মোডে বাইকটি চালানো যাবে। একবার পুরো চার্জ দিলেই স্কুটারটি ছুটবে ১৩০ কিমি। ঘন্টায় ০ থেকে ৫০ কিমি গতি উঠতে সময় নেবে মাত্র ২ সেকেন্ড। সর্বোচ্চ গতি এই স্কটারে ঘন্টায় ১২০ কিমি। এই মডেলে স্থায়ী ম্যাগনেটিক বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে, যা ব্যাটারিকে পিছনের চাকার মাঝে একটি আলাদা কক্ষের মধ্যে রাখে। ফলে চালকের পক্ষেও এটি অনেকটাই সুরক্ষিত।