ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটে যাবে না তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু সেখান থেকে যদি কেউ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চায় তাহলে তারা আসতে পারে। কিছুটাএরকম ভাবেই ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকে শুক্রবার ব্রাত্য বসু জানালেন, ত্রিপুরার বামেরা বুঝা গেছে বিজেপিকে হঠাতে গেলে বিকল্প একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় যদি বিজেপি কে সরাতে হয় তাহলে একমাত্র বিকল্প হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই বিষয়টি বুঝে গিয়েছেন ত্রিপুরার বামেরা। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু ত্রিপুরার বামফ্রন্ট এবং বাংলার বামফ্রন্টের তফাতের কথা নিয়ে আলোচনা করলেন।তিনি বললেন, ত্রিপুরায় থাকা বামফ্রন্ট অনেকটা বেশি বাস্তববাদী। ওরা সব সময় মাটিতে বসবাস করতে জানে। তাই ওরা জানে যদি তৃণমূল কংগ্রেস কে সরাতে হয় তাহলে একমাত্র ভরসা হতে চলেছে তৃণমূল।
ব্রাত্য বসু বললেন, ত্রিপুরার মানুষ বুঝে গিয়েছে, রাম নয়, বাম নয় একমাত্র বিকল্প তৃণমূল। ব্রাত্য আরো বলেন, “আমরা ত্রিপুরায় আইনি পথে এগোতে চাইছি। ওরা ভয় পাচ্ছে তৃণমূলকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে। আমাদের বলছি আমরা টুরিস্ট। তাহলে টুরিস্টের বিরুদ্ধে হামলা করার কি?”
ব্রাত্য বসু আজকের সাংবাদিক বৈঠক থেকে আরও প্রশ্ন করেন, বাংলার বাইরে থেকে অনেক নেতা মন্ত্রীরা এসেছেন। অনেক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন কিন্তু তৃণমূল কারোর বিরুদ্ধে মামলা করেনি। কিন্তু এখানে বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়ে সকলের বিরুদ্ধে মামলা করতে শুরু করেছে। তার পরেই তিনি বামেদের প্রসঙ্গ আনেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলীদের উপরে হামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।