সময় শেষ, অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকে গরু পাচার মামলায় বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করলো সিবিআই। বাড়িতে ঢুকে মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই হল বাজিমাত। গরু পাচার মামলায় আটক হলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।এদিন সকালেই বোলপুরের নিচু পট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ১০-১২ টি গাড়ির কনভয় নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। শুধুমাত্র মেনগেট নয় দুদিক দিয়ে বাড়িতে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়িতে ঢুকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন সিবিআই অফিসাররা। তারপর বেশ কিছুক্ষণ সিবিআই অফিসাররা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। তারপরেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাকে গাড়িতে তোলা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গেলে আজকেই তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই। তবে অন্য একটি সূত্রের খবর, ৪১এ অনুযায়ী নোটিশ দিয়ে দুর্গাপুর ক্যাম্প অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। বাড়িতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রাজি নন তদন্তকারীরা।
গরু পাচার মামলায় দশবার অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই কিন্তু কেবলমাত্র একবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়িয়েছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আজকে ওই চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাব খাটিয়ে চিকিৎসককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা তা জানতে চাওয়া হবে ওই চিকিৎসকের কাছে। এছাড়াও কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিৎসক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতে গিয়েছিলেন তাও জানতে চাইছে সিবিআই।
সকালেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেই সূত্রে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। ইতিমধ্যেই অনুব্রতর দেহরক্ষীদের বাড়ি থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় অনুব্রতর বাড়িতে যে অফিস রয়েছে সেখানে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে গরু পাচার কান্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সূত্রের খবর, তাকে গ্রেফতার করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার কাছ থেকে পেয়েছে সিবিআই। এই মামলায় সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের যুক্ত থাকার বেশ কিছু প্রমাণ হাতে এসেছে। সেই বিষয় নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।