আশ্বিন মাস কেটে গেলেও হালকা ঠান্ডা আমেজের চিহ্নমাত্র নেই। বরং এবার দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। শরতের নীল আকাশ এবং পেজা তুলোর মেঘ থাকলেও কাল থেকে আকাশে দেখা যাবে কালো মেঘ। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায়। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় আজ ভারী বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় আজ সারাদিন আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। তবে আপেক্ষিক আদ্রতা আজ খুব একটা বাড়বে না। তার বদলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় জেলায় হালকা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আর এই বৃষ্টির কারণেই ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ।
দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই চব্বিশ পরগনায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গে। তার প্রভাবে ইতিমধ্যেই সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ৯ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। পাশাপাশি সিকিমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। কালিম্পং জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। এমনিতেই উত্তরবঙ্গের মাল নদীতে হরপা বানের কারণে দূর্গা পূজার ভাসালে বানভাসি হয়েছেন অনেকে। আবারো উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং কালিম্পং এবং সিকিমের ভূমিধসের সর্তকতা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আগেই আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, আগামী দু-তিন দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকতে চলেছে। পার্বত্য এলাকায় ধস এবং নদীতে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গের কোন কোন জায়গায় সোমবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত সেখানে বৃষ্টি বিদায় নেওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বুধবার ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে চলেছে উত্তরবঙ্গে। মূলত কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকা এবং জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধবার মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।