Indian Railways: দুরন্ত গতিবেগের ট্রেন, এবার দিল্লি থেকে বিহার পৌঁছাবেন মাত্র ৬০ মিনিটে
এতদিন যেখানে চীনের বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেদ ছিল ৩৪৯ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়, সেখানে জাপানের বুলেট ট্রেনের গতিবেগ ছিল প্রায় ৫০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
বিগত কয়েক বছরে প্রযুক্তির খেলায় মেতে উঠেছে পুরো বিশ্ব। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত সহ ফ্রান্সের মতো দেশগুলি প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত একের পর এক যুগান্তকারী আবিষ্কার নিজেদের নামে অন্তর্ভুক্তি করছে এই সমস্ত দেশ। তবে কথায় আছে, যে দেশের ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা যত উন্নত, সেই দেশ তত তাড়াতাড়ি উন্নত হবে। আর এই কথাটিকে এবার সত্য প্রমাণ করতে চলেছে চীন। জাপানকে টেক্কা দিয়ে বুলেট ট্রেন নির্মাণের ক্ষেত্রে এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল চায়না।
আমরা আপনাদের বলি, বিগত এক দশকে পুরো বিশ্বে যে দেশটি সর্বাধিক উন্নতি সাধন করেছে, সেটি হলো চায়না। সামরিক খাতে অন্যদের পাশাপাশি নিত্যনতুন পণ্য আবিষ্কারেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে চীন। তবে এবার দেশটি এমন একটি প্রযুক্তিতে রেল তৈরি করেছে, যা চমকে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। আপনারা আগে থেকেই জানেন, জাপান এবং চীনের মতো দেশগুলি কয়েক বছর আগে থেকে বুলেট ট্রেন ব্যবহার করে আসছে। তবে গতির নিরিখে চীনকে বরাবরই টক্কর দিয়েছে জাপান। এতদিন যেখানে চীনের বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেদ ছিল ৩৪৯ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়, সেখানে জাপানের বুলেট ট্রেনের গতিবেগ ছিল প্রায় ৫০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
তবে এবার গতির দানব আবিষ্কার করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে দেশটি। এদিন চায়না রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মোঙ্গলেব প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহার করে তাদের নতুন এই ট্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। যার ডিজাইনেও বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রযুক্তিগত বিদ্যা এবং পরিষেবার ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিবর্তন আনা হয়েছে এই ট্রেনে। মূলত, দূরপাল্লার যাত্রীদের কথা ভেবে এই ট্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। চীনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের নতুন এই ট্রেন ৬৪৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে চলতে সক্ষম। অর্থাৎ, এবার চীনের ট্রেন সরাসরি টক্কর দেবে প্লেনকে।