কলকাতার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেট পরামর্শক এবং ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির প্রথম কোচ অশোক মুস্তাফি দীর্ঘকাল অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যাতে ভুগছিলেন তিনি। মাসদুয়েক আগে হৃদরোগের সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় সঞ্জয় দাস সহ উনার কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র পাখি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উনার ছোটো বেলার বন্ধু সঞ্জয় দাস এর কাছ থেকে কোচের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছিলেন। সেবার কয়েকদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি কিন্তু এই গতকাল তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং আজ ভোরে ইহলোক ত্যাগ করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ আরও অন্যান্য অনেক ক্রিকেটারের প্রশিক্ষক।
গাঙ্গুলি এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সঞ্জয় দাস দুখিরাম কোচিং সেন্টারে তাঁর অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন – একসময় এটি উঠতি প্রতিভাধর ক্রিকেটারদের জন্য বাংলা ক্রিকেটের বাতিঘর হিসাবে বিবেচিত হত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা চন্ডীদাস গঙ্গোপাধ্যায় সৌরভকে ছোটবেলায় দুখিরাম কোচিং সেন্টারে ভর্তি করেছিলেন। মাধ্যমিক শুধু গাঙ্গুলিই নন, মোস্তাফির নির্দেশনায় রঞ্জি ট্রফিতে প্রায় ২০ জন ক্রিকেটার বাংলার হয়ে খেলতে নেমেছেন।
গাঙ্গুলি বারবার স্বীকার করেছেন যে কীভাবে ‘মুস্তাফি স্যার’ তাকে খেলার মূল বিষয়গুলি শিখতে সহায়তা করেছিল। প্রথম জীবনী অশোক মুস্তাফি বিএনআর এর হয়ে ক্লাব ক্রিকেট খেলছেন। তারপর আস্তে আস্তে কোচিং জীবনে আসেন এবং গড়ে তোলেন দুখিরাম কোচিং সেন্টার। ১৯৯২ সালে তিনি এই কোচিং সেন্টার ছেড়ে তিনি হাওড়া ক্রিকেট ইউনিয়নের কোচিং সেন্টারে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০০০ সালে ময়দান ছাড়েন তিনি। তারপর কিছুদিন সল্টলেকের একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে কোচিং করান। বর্তমানে তার মৃতদেহ পিস হাভেনে রাখা আছে। ইংল্যান্ডে থাকা উনার মেয়ে ফিরলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। যেটা জানা যাচ্ছি উনার মেয়ে দেশে ফেরার জন্য ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।