কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে চালু না করা নিয়ে শুক্রবার থেকে একের পর একবার নিশানা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার কাশ্মীরে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনা করে বাংলায় এই প্রকল্প চালু না করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এইনিয়ে এইবার সরব হতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এইবার প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা নিশানা করে জবাব দিলেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন।
শনিবার তৃণমূল সাংসদ টুইট করে বলেন,’ নরেন্দ্র মোদীজি, আপনি কিছু লোককে বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন। আর রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে বিনা খরচে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় এনেছে বাংলার সরকার। এই তালিকাটা দেখুন, তবে বুঝবেন। তাহলেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।”
একটি তালিকা প্রকাশ করে তিনি আয়ুষ্মান ভারত এবং স্বাথ্যসাথীর তুলনা টেনেছেন ডেরেক। তৃণমূল সাংসদ এইদিন দাবী করেন-
- স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছে ২০১৬ সালে, সেখানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে চালু হয় ২০১৮ সালে।
- স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্য সরকার খরচ করেছে ১০০%, আয়ুষ্মান ভারতে প্রকল্পে কেন্দ্র দেয় ৬০%, বাকি খরচ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
- স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পাওয়া যায় ৫ লাখ টাকার বিমা, সেখানে আয়ুষ্মান ভারতেও ঠিক ৫ লাখ টাকার বিমাই দেওয়া হয়।
- আয়ুষ্মান ভারত পরিষেবা দেয় দেশের ৪০% মানুষকে, সেখানেই স্বাস্থ্যসাথী দেওয়া হয় রাজ্যের ১০০% মানুষকে। এই কার্ড পান পরিবারের মহিলা সদস্যরা। অন্যদিকে আয়ুষ্মান ভারতে এমন কোনও ব্যবস্থা।
Do you know @narendramodi ji, Swasthya Sathi is not at all linked to the Modi govt. You give free health to a few. Bengal provides free healthcare to all 10 crore people in the state. When you are not busy running down Bengal, here’s a revealing chart you might want to look at👇 pic.twitter.com/E6q0KEZMW6
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) December 26, 2020
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই অনুষ্ঠানে মোদী বলেন,” এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২৪০০ টি হাসপাতালে করান যাবে চিকিৎসা। কেবল কলকাতায় মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। কারণ সেখানকার সরকার এই প্রকল্প চালু করেননি।”