একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ শাসকদলের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিল অধিকারী পরিবার। কিন্তু নির্বাচনের কিছুদিন আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই অধিকারী পরিবারের সাথে সম্পর্কে চিড় ধরেছে তৃণমূলের। শেষ ৬ মাসে অধিকারী পরিবারের সাথে তৃণমূলের রসায়নের ক্রমশই অধঃপতন হয়েছে। প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন এবং তারপর তার পথেই হেঁটেছেন অধিকারী প্রধান শিশির অধিকারী। তবে এখনো অব্দি খাতায়-কলমে তৃণমূলে রয়েছেন অধিকারী পরিবারের এক সদস্য। তিনি হলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি। তবে তৃণমূলের প্রধান শত্রু শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সদস্য কি দলে থেকে খুশি আছেন?
শুভেন্দু অধিকারী একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ছাড়ার সময় থেকেই একাধিক ইস্যুতে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে চর্চিত হয়েছেন। বারংবার তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা শুভেন্দু অধিকারী তথা অধিকারী পরিবারকে “মীরজাফর” পদবী দিয়েছে। এছাড়াও প্রায় প্রত্যেক জনসভাতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক কথা উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক দায়িত্ব কমিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অধিকারী পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে তাদের ওপর আর ভরসা নয়। তারপর নির্বাচনের ফল বেরোতেই তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয়বারের জন্য জয়ী হয়ে বাংলার মসনদে বসেছে। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিকারী পরিবারের সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারি রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কি?
এবার দিব্যেন্দু অধিকারি নিজেই তার রাজনৈতিক অবস্থান সম্বন্ধে মুখ খুলেছেন। কারণ সম্প্রতি তিনি তৃণমূল সাংসদ দেওয়ার সত্বেও রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। রাজ্য তার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই বিষয়ে দিব্যেন্দু অধিকারি বলেছেন যে তিনি এখনো তৃণমূলেই রয়েছেন। আপাতত তার বিজেপিতে যাওয়ার কোন ভাবনা চিন্তা নেই। তবে রাজ্য সরকার তার নিরাপত্তা তুলনায় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “পরিবারের কোন সদস্যের অপমান মানেই তাকে অপমান করা।” অর্থাৎ তৃণমূলের থাকলেও তিনি দলের প্রতি যথেষ্ট বিরূপ এবং পরিবারকে ক্রমাগত আক্রমণ থেকে বাঁচাতে চাইছেন।