একুশের নির্বাচনের আগে ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতির তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে। কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে চায় না বিপক্ষকে। জবাব পাল্টা জবাবকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে আছে বঙ্গ রাজনীতি। এরইমধ্যে আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন দীলিপবাবু।
আজ সকালে তিনি জানিয়েছেন, “শুভেন্দু অধিকারীর ঘরের মাঠে কর্মসূচি করতে যাচ্ছে তৃণমূলের কিছু নেতা। আসলে তৃণমূল যে সমস্ত জিনিস বিক্রি হয়না সেগুলিকে চৈত্র সেলে বিক্রির চেষ্টা করছে। মানে তৃণমূলের গুদামে যে কটা নেতা পড়ে আছে তাদের নিয়ে এদিক ওদিক জনসভা করার চেষ্টা করছে।” প্রসঙ্গত আগামী বুধবার বিকেলে কাঁথিতে সভা করছে তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিল গিরি। দীলিপবাবু জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নির্বাচনে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চায় না। তাই তারাও কাঁথিতে তৃণমূলের পাল্টা বৃহস্পতিবার সভা করবে। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী।
এছাড়াও আজ প্রাতঃভ্রমণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর গতকালের নবান্নের একগুচ্ছ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই কিছুদিন আগে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব দেবে বলে ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু এখন বলছে এত ট্যাব একসাথে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন নাকি প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দেবে সরকার। আসলে সব ভাওতাবাজি। আমফানের ত্রাণের টাকার মতো এই ১০ হাজার করে সব টাকা নেতাদের ছেলেরা আগে পাবে।
এছাড়াও তিনি এদিন বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতদিন প্রাথমিক শিক্ষক ও পুলিশ নিয়োগ হবে বলে আশা দেখিয়েছেন। এইসব ভোটের আগের সব ঘোষণা বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “কোন নিয়োগ হবে না। ভোটের আগে বলতে হয় তাই বলছে।” অন্যদিকে তিনি তৃণমূল ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, “পিকের চাকরি তো যাবেই। তাই আগে থাকতে গান গাওয়া শুরু করে দিয়েছে।”