বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রায় প্রতিদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করেছেন। তবে এবার দিলীপ ঘোষের সভাতে লাকি ড্র করতে দেখা গেল। লাকি ড্র এর মাধ্যমে বেছে নেয়া হল বিজেতা। আর সেই বিজেতার হাতে তুলে দেওয়া হলে বিভিন্ন আলোর পুরস্কার। এমনটাই ঘটেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। এই প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি যে দিলীপ ঘোষ সভায় লোক না হওয়ায় টোপ দিচ্ছে।
আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে দক্ষিণ কলকাতা যোধপুর পার্কের চা-চক্রে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তার শোভাতে শ্রোতাদের কুপন বিলি করা হয়। সেই কুপনের এক পিঠে লেখা ছিল, “বদল হবে, হাল ফিরবে, এবার ২০০ হার”। অপর পিঠে ছিল পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র এবং দিলীপ ঘোষের চা-চক্রে একটি ছবি। সেই কুপন বিলি করার পর সেই কুপন এর মাধ্যমে লাকি ড্র হয়। যারা লাকি ড্র তে যেতেন তাদের পুরস্কার হিসেবে আলোর পুরস্কার তুলে দেয় খোদ দিলীপ ঘোষ। তার লাকি ড্র এর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তার সভাতে। সেখানে রীতিমতো করোনাভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে তোয়াক্কা না করে মানুষের ভিড় হয়।
দিলীপ ঘোষের লাকি ড্র নিয়ে ইতিমধ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ দাবি করেছেন যে “গোটা রাজ্যে বিজেপির জনসভা বৈঠকে কোথাও লক হচ্ছে না। বিজেপি এতটাই নিচু স্থানে নেমে গিয়েছে যে রাজনীতি করার জন্য পুরস্কারের টোপ দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মানুষকে সভায় ডাকার জন্য লাকি ড্র করে পুরস্কার দিচ্ছে।” এরপর কুনাল ঘোষ গেরুয়া শিবির কে সার্কাস পার্টি বলে কটাক্ষ করেছেন। অবশ্য এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।