নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“মুসলিমদের দুর্দশার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী”, মগরাহাটের জনসভায় গিয়ে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বললেন, "মুসলিমদের অন্য মানুষের থেকে আলাদা করে শুধুমাত্র ভোটার হিসাবে বিবেচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী"

Advertisement

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ চরমে উঠেছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ভোট প্রচার করতে গিয়ে অন্য দলের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। এরইমধ্যে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মগরাহাটের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে ক্ষোভ উগরে দিলেন। তিনি বলেছেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে মুসলিমদের ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। দিদি এখানে বলছেন আমরা নাকি জাতপাতের রাজনীতি করছি।”

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংখ্যালঘুর প্রভাবিত এলাকা মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ধামুয়ায় জনসভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সেখান থেকে একই সূত্রে কংগ্রেস ও বামেদের সাথে শাসকদলের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সরাসরি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের জন্য কি কাজ করেছে? সেইসাথে তিনি বলেছেন, “সবাই আপনাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। আপনাদের ভুল বুঝিয়েছে রাজ্যের সব সরকার। মুসলিমদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি। কেন জানেন? কারণ ওদের চাকরি নেই, কাজ নেই। তাই ওরা অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য হয়। ওদের একবার সুযোগ দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে ওরা কি।” এছাড়াও তিনি বলেছেন, “ভারতবর্ষে একজন হিন্দুর সমান অধিকার আছে একজন মুসলমানের। বিজেপি তাই বিশ্বাস করে।”

এছাড়াও এদিন সভা থেকে দিলীপ ঘোষ সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বলেছেন, “ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের বিজেপি থেকে আলাদা করে রাখার চেষ্টা করছে শাসক দল। বিজেপি এরাজ্যে আসে তাহলে দাঙ্গা বন্ধ হয়ে যাবে। সকলে কাজ পাবে। রাজ্যে অরাজকতা শেষ হয়ে যাবে। আইনের সুশাসন পাব এই রাজ্যে। কোন রাজ্যে গিয়ে দেখবেন মুসলিমরা চাকরি করছে কাজ করছে। তারা অনেক শান্তিতে আছে।”

এছাড়াও তিনি এদিন বলেছেন, “এই যে আব্বাস সিদ্দিকী নতুন দল গড়ছে তা দেখে দিদির হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। তা কেন হবে? ওদের কি অধিকার নেই নিজেদের মতো দল তৈরি করার? মুসলিম ভোট কি দিদির জমিদারি নাকি?” এছাড়াও তিনি এদিন কার সবার থেকে দলবদল ইস্যুতে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “শাসক দলের মধ্যে অত্যাচারের কারণে পালিয়ে আসছে এমপি, এমএলএ ও মন্ত্রীরা।”

Related Articles

Back to top button