‘বারমুডা পড়বেন, শাড়ি পরলে ভালো দেখা যায় না’, মমতাকে কুরুচিকর মন্তব্য দিলীপের
তৃণমূল কংগ্রেসকে হুইল চেয়ারের সরকার বলে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। প্রায় প্রতিদিন জনসভাতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের লড়াইয়ে ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব। এরইমধ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে ফের আরেকবার কুরুচিকর মন্তব্য করে শিরোনামে এলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার একটি গেরুয়া শিবির জনসভাতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে করতে শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছেন। তিনি সরাসরি রাখঢাক না রেখেই মমতাকে “বারমুডা” পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আর তাতেই উত্তাল হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি।
আজ মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ান বিধানসভায় পারসি মূর্মুর ভোট প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেছেন, “প্লাস্টার কাটা হয়ে গেছে। আবার ফের ব্যান্ডেজ হয়ে গেছে। জনসভাতে গিয়ে পা তুলে তুলে সবাইকে দেখিয়ে সিমপ্যাথি নিচ্ছে। শাড়ি পড়ে এসে একটা পা ঢাকা। আর একটা খোলা। এরকমভাবে শাড়ি পরতে দেখিনি আমি কোনদিন। দেখানোরই যদি হয় পাঠা ভালো করে বার করে রাখতে পারেন। তাহলে আর শাড়ি পরবেন না। বারমুডা পরে করুন। বারমুডা পড়লে পরিষ্কার সব দেখা যাবে। শাড়িতে দেখা যায় না।”
এখানেই থেমে যাননি দিলীপ ঘোষ। তিনি আরো বলেছেন, “মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে বেশিদিন বাপের বাড়ি থাকতে নেই। এই কথাতে রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলার মেয়ের দশ বছর হয়ে গেছে। এবার আমরা বিদায় জানাব।” এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গে কুরুচিকর ভাবে তিনি বলেছেন, “মমতাদি বলেছেন দুয়ারে দুয়ারে সরকার। আমরা দুয়ারে ঝাঁটা নিয়ে বসে আছি। এলেই তারাবো। কিন্তু সরকার তো এলো না। দুয়ারে সরকার ঠেলাগাড়ি সরকার হয়ে গেছে। হুইল চেয়ারের সরকার হয়ে গেছে। দিদি যেহেতু বুঝে গেছেন তিনি জিততে পারবে না তাই তিনি এখন নাটক করছেন।”