স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন বোধ হয় একেই বলে। হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীনেশ কার্তিকের প্রত্যাবর্তন যেন লেখকের কলমে ফুটিয়ে তোলা কোন জীবনী। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর এভাবেও যে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করা সম্ভব তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। ভারতীয় ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকের জীবনী এখন হাজার-হাজার তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। এ পর্যায়ে আপনাদের জানিয়ে রাখি, দীনেশ কার্তিক ২০০৭ সালে তার ছোটবেলার বন্ধু নিকিতা ভানজারাকে বিয়ে করেন।
মাত্র ২১ বছর বয়সে বিবাহিত জীবনে পদার্পণ করলেও কখনো দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি দীনেশ কার্তিকের। যদিও নিকিতা আর দীনেশের বিয়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে হয়েছিল। দীনেশ কার্তিক এবং নিকিতার বিবাহিত জীবনের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে কার্তিকের বন্ধু মুরালি বিজয়ের নাম উঠে আসে। নিকীতার সঙ্গে মুরালি গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। অবশেষে বিয়ের পাঁচ বছর পর অর্থাৎ, ২০১২ সালে, নিকিতা বানজারা ও দীনেশ কার্তিকের বন্ধু মুরালি বিজয় বিয়ে করেন।
চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার কারণে একেবারেই ভেঙে পড়েন দীনেশ কার্তিক। এর পর নিকিতা ভানজারার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় কার্তিকের। এরপর দীনেশ কার্তিক স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালের সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং ২০১৫ সালে বিয়ে করেন তারা।
দুজনেই হিন্দু রীতি ও খ্রিস্টান রীতি মেনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দীনেশ কার্তিকের জীবন পুরোপুরি বদলাতে শুরু করেন দীপিকা পাল্লিকাল। দীনেশ কার্তিক এবং দীপিকা পাল্লিকাল গত বছরই যমজ সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন। বর্তমানে দীনেশ কার্তিক কেবল তার পারিবারিক জীবনে সুখীই নন বরং একজন সেরা ফিনিশার হিসেবে রীতিমতো সুনাম অর্জন করছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।