একুশের নির্বাচন দোরগোড়ায়। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস দলবদল রোগে জর্জরিত। প্রায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করায় তীব্র অস্বস্তিতে আছে শাসকদল। তবে এরই মাঝে ট্রেন্ড পরিবর্তন করছে দলবদল। যেন মনে হচ্ছে ঠিক খেলার পাশা বদলাচ্ছে। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন দীপক রায়। আজ অর্থাৎ রবিবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত দলবদল অনুষ্ঠানে রাজ্যের শাসক দলে এসে নাম লেখালেন বিজেপির এসসি মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি দীপক কুমার রায় ও সদস্য সুব্রত রায়। তবে তারা ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করে বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।
আজ তৃণমূলে যোগ দেয়ার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রশংসা করে দীপক রায় বলেছেন, “আমি ২০১৪ সালে রাজনীতিতে এসেছি। ৩৪ বছরের বাম সরকারের উন্নয়নে কোন কাজই করেনি। ওরা শুধু ভাঁওতাবাজি দিয়ে গিয়েছে। তারপর ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের কি করে ভালো করা যায় সে নিয়ে ভাবতে শুরু করেন এবং যথাযথ কাজ করেন।” তবে সেই সাথে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মুকুল রায়কে সংগঠন দেখার সময় দিয়েছিলেন তিনি। মুকুল রায় ক্ষমতা পেয়ে লাঞ্চিত মানুষকে ভুলে গিয়ে নিজের মতো চলতে শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে উনি আসলে তাকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছিল।”
এদিন তিনি আরো বলেন যে, “তোলাবাজ ভাইপো কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে একটা নক্ষত্র। আসলে আগে মুকুল রায় টাকা নিয়ে পদ দিতেন। সেই আড়ালে চলে ভুলভ্রান্তি বাচ্চা ছেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে সবাইকে ধরিয়ে দিয়েছিল। তখন স্বার্থে আঘাত লেগেছিল মুকুল রায়ের। তাই তিনি দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর এখন বিরোধী দলে গিয়ে ক্ষমতা পেয়ে বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ বলে গালমন্দ করছে। আসলে ভাইপো ওর ভুল ধরিয়ে দেওয়ার সেটা মেনে নিতে পারেনি ও।”
এছাড়াও সে বিজেপি কেন ছাড়লো সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরাসরি বলেছেন, “গেরুয়া শিবির তপশিলি জাতি, উপজাতি সহ সাধারন মানুষের জন্য কিছু কাজ করবেনা। তার স্পষ্ট প্রমাণ দিচ্ছে আসাম ও ত্রিপুরা। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ হবে না সেটা জানা কথা। সব তথ্য পরে বলব। আজকে ঘাসফুল শিবিরের সাথে পথ চলা শুরু হল। এখন অনেক কাজ বাকি আছে।”