Dipendu Biswas: গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চান দীপেন্দু, ক্ষমাপার্থী হয়ে চিঠি লিখলেন মমতাকে
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন প্রাক্তন বসিরহাট দক্ষিণ বিধায়ক তথা ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের ট্রেন্ড এসেছিল। একের পর এক তৃণমূল নেতা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে দল ছেড়েছিলেন। বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস দলের হয়ে টিকিট না পাওয়ায় রাতারাতি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। হয়তো তার প্রত্যাশা ছিল যে বিজেপিতে যোগদান করলে ভোটে লড়াই করার টিকিট মিলবে। কিন্তু বাস্তবে সে গুড়ে বালি! তারপরই কিছুদিন আগে গেরুয়া শিবিরের সাথে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন ওই ফুটবলার বিধায়ক। এবার আজ অর্থাৎ সোমবার সরাসরি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তিনি।
চিঠিতে প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, “প্রথমেই আমার প্রণাম নেবেন। বেশ কিছুদিন আগে অভিমানে ভুলবশত আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। নির্বাচনের সময় আমি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। বিগত কিছুদিন আগে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক করে আপনি বসিরহাটের মানুষের সেবা করার যে সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন তার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এখন আপনার অনুমতিস্বরূপ ক্ষমা প্রার্থনা করে, আমি আবারও তৃণমূলে যোগদান করতে চাই। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি মাননীয় সুব্রত বক্সী দার হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে আমি উন্নত বাংলা গড়ার যুদ্ধে শামিল হতে চাই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীপেন্দু বিশ্বাস প্রথমে ফুটবলার হয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু করলেও তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাকে টিকিট দেয়। তিনি ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বসিরহাট দক্ষিণ আসনে জয় লাভ করেন। কিন্তু একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে তিনি দলত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে ভরসা দেখান। কিন্তু গেরুয়া জার্সি পড়ে তার নতুন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায়। গেরুয়া শিবিরেও তিনি টিকিট পাননি। তবে এবার নতুন ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে দীপেন্দু অধিকারী মা-মাটি-মানুষের দলেই ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।