সুরজিৎ দাস: ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ ভাগ এইবারো দেশের অন্যতম সেরা আক্রমণ ভাগ হয়ে উঠতে চলেছে এমনটা বলাই যায়। ডুরান্ডের ফাইনালে উঠতে না পারলেও টুর্নামেন্ট এর অন্যতম সেরা স্ট্রাইকিং লাইনআপ ছিলো তাদের এই বছর এখনো ৬ ম্যাচ খেলেছে লাল হলুদ বাহিনী জিতেছে ৪ টি তে গোল হয়েছে মোট ১৩ টি। সবে মাত্র মরশুম শুরু হয়েছে দল এখনো পুরোপুরি সেট হয় নি তাতেই আক্রমণ ভাগ ফুল ফোটাতে শুরু করেছে আইলিগে এই স্ট্রাইকিং ফোর্সের উপর আশা রাখতেই পারেন লাল হলুদ সমর্থকরা।
দলের মূল স্তম্ভ হাইমে কোলাডো ৪ টি গোল পেয়েছেন তার চোরা গতি, অনবদ্য ড্রিবলিং এর সাথে এইবার যুক্ত হয়েছে বাক খাওয়ানো সেটপিস নেওয়ার ক্ষমতা যা হাইমে কে আরোও শক্তিশালী করে তুলেছে। গত মরশুমে আলেহান্দ্রোর আবিষ্কার ছিলো কেরালাইট স্ট্রাইকার জবি জাস্টিন এই মরশুমে জবি কে না পেলেও জবির বিকল্প তৈরে করে ফেলেছেন স্পানিশ মাস্টারমাইন্ড। পাহাড়ের ফুটবলার বিদ্যাসাগর সিং এবার লাল হলুদের অন্যতম স্টার হতে চলেছেন ইতিমধ্যেই তার নামের পাশে আছে ৬ গোল সাপোর্টিং স্ট্রাইকার পাশে থাকলে প্রতি ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছেন বিদ্যাসাগর।
পিন্টু ও ব্রেন্ডন দলের অন্যতম চলনশক্তি হতে চলেছে উইং ধরে গতিময় ফুটবল খেলে একের পর এক আক্রমণ করতে পারেন এই দুই তরুণ ফুটবলার। নবাগত বিদেশী মার্কোস এস্পাদা কে প্রথম ম্যাচ দেখেই বিচার করা যাই না কলকাতার কাদাময় মাঠে ইউরোপিয়ান ফুটবলার দের পা থেকে শৈল্পিক ছোঁয়া আশা করাই বোকামি তাই মার্কোস কে নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যায় না। অপরদিকে স্পানিশ প্লেমেকার অ্যাটাকিং মিডিও হুয়ান মেরা যোগ দিলে এই দলের আক্রমণ ভাগ আরও সচল হয়ে উঠবে তা আশা করাই যায়। তাই কলকাতার লিগের পরবর্তী ম্যাচ গুলোতে ও আইলিগে ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকিং লাইনআপ কে ঘিরে স্বপ্ন দেখতেই পারেন লাল হলুদ জনতা।