মুম্বাইয়ের প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন যে ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন নিয়ে দল পর্যালোচনা করবে। ব্যাটিং অর্ডারের এই পরিবর্তনটি সবচেয়ে বড়ো বিতর্কের পয়েন্ট ছিল। এই প্রতিবেদনে আমরা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের হারের পেছনে তিনটি বড় কারণ তুলে ধরবো।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঠিকঠাক কাজে আসেনি : ভারত প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল এবং শিখর ধাওয়ান তিন ওপেনারের সাথে নেমেছিল। তাই বিরাট কোহলি ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। দ্বিতীয় উইকেট ধাওয়ান এবং রাহুলের মধ্যে ভাল পার্টনারশিপ হয়েছিল, কিন্তু তারা আউট হয়ে যেতেই ভারত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ভারতীয় ইনিংসের ২৯ তম ওভারে ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি। তখন ম্যাচের উপর তার কর্তৃত্ব করার সুযোগ ছিল না। এই কৌশলটির পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন এবং অধিনায়কও ম্যাচের পরে একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “এটি কিছু ছেলেদের সুযোগ দেওয়ার জন্য। কাউকে পরীক্ষা করতে চাইলে তাকে সুযোগ দিতেই হবে। একটা ম্যাচ নিয়ে এতো আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, ধৈর্য ধরুন। আমাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং মাঝে মাঝে ব্যর্থ হতেই পারি। আজ ব্যর্থ হলেও আমরা কিছু শিখেছি”।
আরও পড়ুন : আইসিসির বর্ষসেরা একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহলি
দ্রুত উইকেট হারানো: দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল ও ধাওয়ান শতরানের পার্টনারশিপ করেন কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যেই তারা দুজন ফিরে যেতেই ভারতের স্কোর ১৬৪-৫ হয়ে যায়। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ও রিষভ পন্ত ইনিংস গড়ার জন্য ভালো শুরু করেছিলেন কিন্তু তারাও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে ব্যর্থ হন তখনই ভারত চাপে পড়ে যায়। স্লগ ওভারে যখন রান তোলার উপযুক্ত সময় তখনই ভারতের কোন ব্যাটসম্যান ক্রিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
খারাপ বোলিং : ভারতের কাছে জসপ্রিত বুমরাহ এবং মহম্মদ শামির মতো তারকা বোলার ছিল তাই আশা করেছিল যে তারা এই লক্ষ্য রক্ষা করতে সক্ষম হবে। কিন্তু ওয়াংখেড়ের ফ্ল্যাট ট্র্যাকে কোনও বোলার কিছুই করতে সক্ষম হয়নি। শামি ও বুমরাহ উভয়েই ওভার পিছু ৭ করে রান দেন এবং এখানেই অস্ট্রেলিয়াকে আটকানোর পক্ষে ভারতের কাছে সমস্যা হয়।