করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে বেশিরভাগ ক্রীড়া ইভেন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩ তম আসর যেটি ২৯ শে মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল তা বিসিসিআই কর্তৃক ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। দল ও তাদের অধিনায়কসহ আইপিএলে বছরের পর বছর অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে এবং বছরের পর বছর অনেক রেকর্ড ভাঙা রয়েছে। যাইহোক, আইপিএল কিছু দুর্দান্ত ক্রিকেটিং চশমা দিয়ে ভক্তদের বিনোদন দিয়ে চলেছে। বিসিসিআইয়ের থেকে পরবর্তী খবর পাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খেলোয়াড় আইপিএল মরসুমে বছরের পর বছর সর্বাধিক উইকেট নিয়েছেন অর্থাৎ আইপিএলের ইতিহাসে সেরা ৫ বোলিং প্রদর্শন।
প্রথম: লাসিথ মালিঙ্গা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ১২২ টি আইপিএল ম্যাচ খেলে থাকা অভিজ্ঞ স্পিডস্টার এখন পর্যন্ত ১৭০ উইকেট পেয়েছেন। তাঁর ইকোনমি রেট ৭.১৪ এবং ৪৭১.১ ওভার বল করেছেন। ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ তারিখে দিল্লি ডেয়ারডেভিল্সের বিপক্ষে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তিনি ৩.৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন, এটি এখন পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগারগুলির মধ্যে একটি।
দ্বিতীয়: অমিত মিশ্র তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অমিত মিশ্র যিনি দিল্লির ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন। মিশ্র ১৪৭ টি আইপিএল ম্যাচ খেলে ৫১৬.৫ ওভার বল করে ১৫৭ উইকেট নিয়েছেন এবং তার ইকোনমি রেট ৭.৩৫ রয়েছে। তিনি ১৫ ই মে, ২০০৮ সালে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ডেকান চার্জের বিপক্ষে চার ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন যেটি তার সেরা বোলিং প্রদর্শন।
তৃতীয়: হরভজন সিং বর্তমানে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা হরভজন সিং এই তালিকায় তৃতীয়। হরভজন ১৬০ ম্যাচে ৫৬২.২ ওভার বোলিং করেছেন এবং ১৫০ উইকেট নিয়েছেন। তার সেরা আইপিএল ইনিংসটি ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল সিএসকে-র বিরুদ্ধে ছিল তখন তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতেন যেখানে চার ওভারে মাত্র ১৮ রান ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। টুর্নামেন্টে তার ইকোনোমি রেট ৭.০৫
চতুর্থ: পীযূষ চাওলা চাওলা প্রাক্তন কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলোয়াড় যাকে সিএসকে আইপিএল ২০২০ নিলামে কিনেছে। তিনি আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন। চাওলা ১৫৭ ম্যাচে ৫২০.৪ ওভার বোলিং করেছেন এবং ১৫০ উইকেট দখল করেছেন। তার ইকোনমি রেট ৭.৮২ এবং গড় ২৭.১৪।
পঞ্চম: ডোয়েন ব্র্যাভো চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা ব্রাভো ১৩৪ ম্যাচে ৪৩১ ওভার বোলিং করে ১৪৭ উইকেট নিয়েছেন। তার গড় গড় ২৪.৬ এবং তার ইকোনমি রেট ৮.৩৯।