আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রবল চাপানউতোর চলছে। গতকাল রাত্রে হঠাৎই খবর আসে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সাথে বৈঠক করে মন-কষাকষি দূর করে নিয়েছেন। সৌগত রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “শুভেন্দু সাথে যা সমস্যা ছিল তার সব মিটে গিয়েছে। শুভেন্দু তৃণমূল সরকারে থাকবে।” কিন্তু আজ আবার শুভেন্দু সৌগত রায়কে মেসেজ করে বলেছে, “তার এই মুহূর্তে এরকম চলতে থাকলে কাজ করা সম্ভব না।”
এরপরই বিজেপির বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সৌগত রায়কে শুভেন্দু অধিকারীর মেসেজ করা প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকারকে প্রবল কটাক্ষ করেছেন। কৈলাসবাবু একই সূত্রে “ভাইপো” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা সৌগত রায়কে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি সরাসরি সৌগত রায়কে বিদ্রুপ করে বলেছেন, “সৌগত বাবু নিজের নাম্বার বাড়ানোর জন্য এসব কিছু করছে। এমনি তো এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত ভাইপোর মাফিয়াযোগ নিয়ে হয়েছে। কিন্তু সৌগতবাবু সে সব কিছু না বুঝেই নিজের নাম্বার বাড়ানোর জন্য সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ্যে সব বলে দিয়েছেন।”
কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরো কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূলটা তো শুধু পিসি ভাইপোর। ভাইপোর ওপর তৃণমূলের কারোর কিছু বলার সাহস নেই। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কিছু বলতে পারেন না। এইজন্যই তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতারা পার্টির উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন।”
প্রসঙ্গত গতকাল অভিষেক, শুভেন্দু, সৌগত ও প্রকাশ কিশোরের ২ ঘন্টার হাই ভোল্টেজ বৈঠক হয়। তারপরই সৌগত রায় সাংবাদিকদের সামনে বলে দেন, “সব সমস্যা মিটে গেছে।” এতেই ফের বেজায় চটেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আজ সৌগত রায়কে মেসেজ করে বলেছেন, “আমার বক্তব্যের এখনো কোনো সমাধান হয়নি। আমি ৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক বৈঠকে সবকিছু বলব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু তার আগেই জোর করে আমার ওপর সব কথা চাপিয়ে দেওয়া হলো। এরাম ভাবে চলতে থাকলে আপনাদের সাথে একসঙ্গে কাজ করা খুব মুশকিল। আমায় মাফ করবেন।” গতকাল রাতে শুভেন্দু দলে ফিরে এলে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সমাধান হওয়ার যে ক্ষীণ আশার আলো দেখা গিয়েছিল, তা আজ দুপুরের মধ্যেই নিঃশেষ হয়ে গেল।