ভবানীপুরের গিরিশ মুখার্জি রোডের অরুণ চট্টোপাধ্যায় ওরফে মহানায়কের বাড়িতে বলিউডের হিরো নাম্বার ওয়ান স্বয়ং। হ্যাঁ বিশ্বাস না হলেও এই খবরটা সত্যি। আর এই খবর জানালেন মহানায়কের ছোট নাত বৌ দেবলীনা কুমার নিজে। অভিনেত্রী তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গোবিন্দার সাথে কাটানো কিছু বিশেষ মুহূর্ত নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছিলেন। বর্তমানে জি বাংলার ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ রিয়ালিটি শোয়ের এই সিজনের বিচারক গোবিন্দা। সেই সুবাদে কলকাতায় এখন বলিউড অভিনেতার নিয়মিত যাতায়াত। এর জেরেই রিয়ালিটি শোয়ের অন্যান্য বিচারকদের সঙ্গেও গোবিন্দার বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে।
বাদ পড়েননি এই শোয়ের গুরুত্বপূর্ণ মেন্টর দেবলীনাও। আর সেই জন্যই তো কাজের ফাঁকে গোবিন্দাজি ঘুরে গেলেন উত্তম কুমারের বাড়ি থেকে। পাঞ্জাবী যখন খাঁটি বাঙালির বাড়িতে প্রবেশ করে তখন য়ো তখন তো অতিথি আপ্যায়ন জমিয়ে করতে হয়।আতিথেয়তার যে খামতি থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক। মহানায়কের বাড়ির অন্দরমহলে এত সুন্দর বাঙালি আপ্যায়ণ দেখে তো রীতিমতো আপ্লুত গোবিন্দা।
‘ডান্স বাংলা ডান্স’ মঞ্চে গোবিন্দার সঙ্গে দেবলীনার কথা বার্তা শুরু হয়। ব্রেকে কথায় কথায় প্রসঙ্গে মহানায়কের কথা উঠে আসে। আর গোবিন্দও মহানায়কের বেশ বড় অনুগামী। মহানায়কের নাম শুনেই নাকি দারুণ উৎসাহিত হয়ে পড়েন বলি-অভিনেতা। এরপরেই গোবিন্দাকে ভবানীপুরের বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জান৷ দেবলীনা।বৃহস্পতিবার রাতেই ভবানীপুরের চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত হন গোবিন্দা জি। এই দিন ঘন্টা দেড়েকের মতো সেখানে সময় কাটান অভিনেতা।
কোনো বলিউড স্টার নয় বরং ঘরের ছেলে হয়ে বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে সময় কাটান অভিনেতা। এই দিন সবার সাথে আলাদা আলাদা করে ছবি তোলেন। পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে গল্প গুজবে মেতে ওঠেন তিনি। এই দিন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেবলীনার বাবা তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার, মা দেবযানী কুমার। সকলের সাথে আলাদা আলাদা করে ছবি তোলেন অভিনেতা। এই দিন গোবিন্দার জন্য আপ্যায়নে ছিল মিষ্টি কারণ অভিনেতা রাতে ভারী খাবার কিছু খাননা। সেভাবে অভিনেতা কিছু না খেলেও চট্টোপাধ্যায় পরিবারের আপ্যায়নে বেশ খুশি গোবিন্দা। আর অভিনেতাকে নিজের বাড়িতে পেয়ে খুশিতে আপ্লুত গৌরব এবং দেবলীনা। দেবলীনার শেয়ার করা ছবি পোস্ট হতেই ভাইরাল।