ফের রাজ্যপাল বেজায় চটেছেন রাজ্য সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেপি নাড্ডার ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে সভা ছিল। কিন্তু সকালে সভাতে যেতে কি হয় বিপত্তি। নাড্ডার কনভয় লক্ষ্য করে চলে হামলা। নাড্ডা ছাড়াও একাধিক প্রথম সারির গেরুয়া নেতৃত্বদের গাড়িতে আক্রমণ হয়। এই ঘটনার চরম নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনাকে সামনে এনে রাজ্যে অরাজকতা ও অনাচার চলছে বলে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও অরাজকতা প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়ে টুইট বোমা ফেলেন। রাজ্যপাল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইটে তোপ দেগেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগে থাকতে মুখ্যসচিব ডিজিপির কাছে এত সর্তকতা দেওয়া থাকলেও কি করে এরকম ঘটনা ঘটলো। তিনি রাজ্য পুলিশের কান্ডজ্ঞানহীনতার চরম নিন্দা করেছেন।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1336945317229391873?s=20
প্রসঙ্গত, দুদিনের জন্য বাংলা সফরে এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজকে একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল তার। সকালে সেই পথেই তার কনভয় আটকায় কিছু বিক্ষোভকারী দল। সেই সাথে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অনুপম হাজরার মত বিজেপি নেতাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ও পাথর বৃষ্টি হয়। এছাড়াও ভাঙ্গা কাচের বোতল ছোড়া হয় তাদের উদ্দেশ্যে। এই বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের লোক বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে গতকাল হেস্টিংসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানায় যে রাজ্য পুলিশ জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরে ঠিকমতো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আর আজকে সেই অভিযোগ একেবারে বাস্তবে পরিণত হল।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলার খবর শুনেই বেজায় চটেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি এমনিতেই রাজ্য সরকারের সাথে বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন। তারপর আজকের ঘটনা তাকে আরও চটিয়েছে। তিনি ২০২১ এর বাংলা বিধানসভা নির্বাচন কি করে শৃংখলাবদ্ধ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু এবং তারপর আজ গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর বিক্ষোভকারীদের হামলা রাজ্য পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আজকের রাজ্যপালের টুইট শাসকদলের অস্বস্তির কারণ হতে পারে।