বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে তিনি রাজ্যপালকে বলেন, তার আশঙ্কা রয়েছে যে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হতে পারে তার এবং তার অনুগামী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আশঙ্কা করেন তিনি।
রাত পেরতেই শুভেন্দুর চিঠি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন রাজ্যপাল। সেই চিঠিতে তিনি বলেছেন, তার প্রধান কথা হল, “আপনার দীর্ঘদিনের সতীর্থ প্রকাশ করেছেন এই ধরণের আশঙ্কা। আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন প্রশাসনিক। যাতে সাংবিধানিক ব্যবস্থা এবং আইনের শাসন কায়েম থাকে।”
তিনি চিঠিতে আরও বলেছেন,” রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফৌজদারি মামলায় জেরবার করা হলে তা শুধু অপরাধ নয়, তা অসাংবিধানিক এবং গণতন্ত্রের জন্য লজ্জারও।” অর্থাৎ এই ধরণের মামলা যত হয়েছে সবই মাইক্রো ম্যানেজ করে শুধরানো বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজনৈতিক রিবোধীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এখানে নতুন নয়। অতীতে বাম জামানায় মহাকরণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হত। এখনও সমান ভাবে চলছে ট্র্যাডিশন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন,”এই ব্যাপারে তো মাইলফলক হয়ে রয়েছে সেই ১৬ সালের ভোট পর্ব। মামলা দায়ের করা হয়েছিল তৃণমূল কর্মী খুলের জন্য। মানস তারপর তৃণমূলে যান। মামলা তারপর মিলিয়ে যায় হাওয়ায়। তার স্ত্রী গীতা দেবী হয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক।
শুধু তিনিই না, একই কথা শোনা গিয়েছে সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরী সহ,মুকুল রায় সহ বহু নেতার মুখেই। এইবার সেই তালিকায় জুড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর নামও। চিঠিতে এইদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছেন,” আমার কাছে খবর আসছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে থানায় থানায় ওসি, আইসি বদল করা হচ্ছে । এই প্রবণতা তো সাংঘাতিক।”