প্রথমে কলকাতা তারপর শিলিগুড়ি, আরো একবার করোনা বিধি লঙ্ঘন করে হোটেলে পার্টির আয়োজন যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। পুলিশের গোপন অভিযানে পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে মোট ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ৪১ জনের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, এই মামলা আরো একবার কাঠ গড়ায় তুলে দিয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে, আমাদের মানবিক চেতনাকে এবং আমাদের করোনা ভাইরাস নিয়ে ভাবনাচিন্তাকে।
শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকায় একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিশ সেই এলাকায় হানা দেয়। আর হোটেলে ঢোকা মাত্রই কার্যত তাজ্জব হয়ে যান পুলিশ কর্তারা। ভিতরে ঢুকে তারা দেখতে পান সশব্দে বক্স বাজছে। চলছে নাচ গান। করোনাভাইরাস বিধিকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লোকজন দেদার মদ্যপান করছেন। এই ঘটনা দেখামাত্রই পুলিশকর্মীরা ৪১ জনকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এই মহামারী আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনাটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও করোনাভাইরাস বিধি লংঘন করে পার্ক স্ট্রিটের একটি অভিজাত হোটেলে পার্টির আয়োজন হয়েছিল। সেখানে যখন পুলিশ হানা দেয় তখন আয়োজকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সেখান থেকে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তার পাশাপাশি মিন্টো পার্কের একটি অভিজাত হোটেলে জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায়। তারপরে আবার শিলিগুড়ির এই ঘটনা। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। তার মধ্যে যদি বারবার এই অসাবধানতা আমরা করতে থাকি তাহলে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি এর জন্য বড় খেসারত দিতে হতে পারে আমাদের।