শ্রেয়া চ্যাটার্জি : ডিম ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ব্রেকফাস্ট এ ডিম, লাঞ্চ এ ডিম, টিফিনে ডিম কিংবা ডিনারে ডিম, অথবা রাস্তায় বেরোলে এগরোল, মোগলাই কিংবা এক চাওমিন খেতে কে ভালোবাসে। কম পয়সায় বেশ পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার হলো ডিম। একমাত্র যাদের মনে হয় দিনে এলার্জি আছে তারাই এই ডিম নামক অসাধারণ খাবারের বস্তুটি থেকে নিজের লোভ-লালসা কে দূরে রাখতে পারেন। দুনিয়াতে কমবেশি সব ধরনের জাতি খাবারের তালিকায় অনেকটাই ডিম নির্ভর। পূর্ব ভারতের ইতিহাসে খ্রিস্টের জন্মের ৩২০০ বছর আগেই বনমোরগকে পোষ মানানোর কথা জানা যায়। একটু ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যায়, মিশর এবং চীনে খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ বছর আগে মানুষ পোষা মুরগির ডিম খেত। তবে প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায় ডিম আগে না, মুরগি আগে, তবে যেই আগে হোক আজকে আমাদের খাবার বিষয় ‘ডিম পাতুরি’। ভেটকি মাছের অনেকটাই দাম, আর এই লকডাউনের বাজারে এত খরচ করে ভেটকি মাছ নাইবা কিনলেন, তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য চটপট বানিয়ে ফেলুন ‘ডিম পাতুরি’। ডিমে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৫, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই ও ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ফসফরাস ইত্যাদি। সবমিলিয়ে নানান পুষ্টিতে ভরা এই ডিম। ডিম পেশি মজবুত করে, মস্তিষ্ক ভালো রাখে, শক্তি উৎপাদন করে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন বাড়ায়, ত্বক ভালো রাখে। শিশু এবং বয়স্কদের জন্য প্রতিদিন তাদের খাদ্যতালিকায় একটি করে ডিম থাকা আবশ্যক।
উপকরণ:
ডিম
নারকেল কুরানো
পোস্ত
কাজুবাদাম
কাঁচা লঙ্কা
হলুদ গুঁড়ো
গরম মশলা
নুন (স্বাদ মত)
সরষের তেল
বেশ বড় আকারের কুমড়ো পাতা
প্রণালী: কুমড়ো পাতা গুলো প্রথমে একটুখানি গরম জলে ভাপিয়ে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে ডিম, নারকেল বাটা, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা বাটা, পোস্ত বাটা, কাজুবাদাম বাটা, স্বাদমতো নুন, অল্প গরম মশলা দিয়ে ভালো করে সেটিয়ে নিয়ে কুমড়ো পাতার মধ্যে দিয়ে পাতাগুলি কে ভালো করে সুতো দিয়ে বেঁধে নিতে হবে। তারপরে কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে বেঁধে রাখা কুমড়ো পাতা গুলি দিয়ে দিতে হবে। এপিট ওপিট ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ‘ডিম পাতুরি’।