বঙ্গ রাজনীতিতে গতকাল থেকে চর্চার বিষয় শতাব্দী রায়ের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট। গতকাল রাজনৈতিকদের একাংশ মনে করেছিল এবার শতাব্দি রায়ের বিজেপিতে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ব্যাপার বেগতিক বুঝে শাসকদল শিবির শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Roy) সাথে দেখা করে তার সমস্যা মেটানোর কাজে তৎপর হয়েছিল। আজ অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek banerjee) সাথে বৈঠক করে ক্ষোভ মিটেছে শতাব্দীর। সে কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এর উপস্থিতিতে ক্যামাক স্ট্রীট অভিষেকের সাথে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, “আমি কাল দিল্লি যাচ্ছি না।”
আজ তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে ক্যামাক স্ট্রীট এর দপ্তরে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বৈঠক শেষে বলেছেন, “আমার যা সমস্যা ছিল সেগুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি। উনি বলেছেন সেগুলোর সমাধান হবে। আমি আপাতত কাল দিল্লি যাচ্ছি না।” সেইসাথে এদিন সাংসদ বলেছেন এখন সকলকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশে থাকা উচিত। আপাতত বলা যায় শতাব্দী রায়ের ক্ষোভ মেটাতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরো বলেছেন, “দলের অন্দরে সমস্যা হয়েছে তা অন্দরেই মিটবে।” সেইসাথে মুকুল রায় যে তাকে ফোন করেছিল তা তিনি স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, আজ দুপুর বেলাতে তৃণমূল বর্ষিয়ান নেতা সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, “দলের পক্ষে শতাব্দীর সাথে অনেকেই যোগাযোগ করেছে। আমি ওর সাথে কথা বলেছি। বীরভূম জেলা সংগঠন নিয়ে ওর মধ্যে কিছু ক্ষোভ আছে। দল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে ওর কোনো ক্ষোভ নেই। আমি এখনই ওকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছি। ও জানিয়েছে এখন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।” এছাড়াও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ শতাব্দী রায়ের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে বৈঠক করেছিলেন। তবে আপাতত এখন বলা যায়, মমতার পাশেই আছেন শতাব্দি রায়।