২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের লজ্জাজনক পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তাইতো তাদের ধারালো কথার তীরে প্রতি পদে বিদ্ধ হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আপনাদের জানিয়ে রাখি, চলমানরত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে ভারত সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে পরাজিত হয়েছে। প্রথমে ব্যাটিং করে বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যক্তিগত অর্ধশত রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে ভারত। তবে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি তথা আলেক্স হেলস এবং জস বাটলারের বিধ্বংসী ইনিংসে ৪ ওভার বাকি থাকতে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংরেজ বাহিনী।
বলতে গেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একপ্রকার ইংল্যান্ডের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে টিম ইন্ডিয়া। বিষয়টি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি ভারতের প্রাক্তন বিধ্বংসী ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ। এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমে কথা বলার সময় বলেন, ‘আমি পরের বিশ্বকাপে কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মুখ দেখতে চাই না। আমি চাই সম্পূর্ণ নতুনভাবে দল সাজিয়ে বিশ্বকাপে মাঠে নামুক ভারত। ২০০৭ সালে যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে তরুণ ক্রিকেটার সম্মিলিত দল করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিল টিম ইন্ডিয়া ঠিক তেমনটাই করুক বিসিসিআই।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তরুণ ক্রিকেটাররা নিজেদের জীবন দিয়ে ক্রিকেট খেলেছিল। আমি চাই ঠিক তেমনভাবে গঠন করা হোক ভারতীয় দল।’ পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকমণ্ডলীদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন,’আমি সেই সমস্ত অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের আর দলে দেখতে চাই না যারা পারফরমেন্স করেন না। আমি মনে করি আসন্ন বিশ্বকাপে অবশ্যই সেই দিকে দৃষ্টি দেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।’
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘আমি চাই ভারতীয় দলে তরুণ নির্ভীক ক্রিকেটারদের জায়গা হোক। যেখানে ঈশান কিষান, ঋতুরাজ গায়কোয়াড, পৃথ্বী শ কিংবা সঞ্জু স্যামসানের মত ক্রিকেটাররা জায়গা পাবেন। তারা রান করতে জানে, শুধুমাত্র তাদের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ তিনি মনে করেন, ‘আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও পরবর্তী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’