কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই এবারে সেই সমস্ত নেতা মন্ত্রীদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করার সুযোগ কিন্তু ছাড়লেন না। ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই কিন্তু নিজের রঙে ফিরতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুকে। সভামঞ্চে থেকে নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেস কে আক্রমণ করতে দেখা গেল তাকে। তিনি সময় এবং সুযোগ বুঝে তার বহু দিনের জমানো রাগ উগরে দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”তৃণমূল কংগ্রেস দলটা একেবারে কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। লজ্জা করে ২১ বছর এই পার্টিটা করেছি বলে।” তখন হাততালি দিতে দেখা গেল পাশে বসা মুকুল রায় এবং তথাগত রায় কে।
শুভেন্দু আরো বলেছেন,” কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই সরকার থাকতে হবে। না হলে বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা কখনো কোনদিন ফিরবে না। দেশের সব রাজ্যে বিজেপির সরকার নেই। তবে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সমস্ত রাজ্যের কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ তার মানুষদের জন্য এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেয় না। একমাত্র বাংলাতে রাজ্য সরকারের জন্য ৭৩ লক্ষ্য চাষী কেন্দ্রের দেওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। বাংলাকে মোদিজীর হাতে তুলে দিতে হবে। একমাত্র তাহলেই সোনার বাংলা গড়ার সম্ভব হবে। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে সিপিএম যেভাবে বাংলাকে চালিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস সেই একই পন্থা অবলম্বন করেছে। রাজ্যের অবস্থা যা ছিল এখনও তাই আছে।”
শুভেন্দু এদিন আরো বেশ কিছু দাবি করেছেন মঞ্চ থেকে। এদিন সভা মঞ্চ থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর নাম উল্লেখ করে তাকে কথা বলতে শোনা গেল। এদিন শুভেন্দু বললেন,”ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আমাদের এদেশে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। ওনার জন্য আমরা এই দেশে এবং পশ্চিমবঙ্গে থাকার সুযোগ পাচ্ছি।” তার আরো দাবি,” একমাত্র বিজেপি পারে ফর দ্য পিপল, বাই দ্যা পিপল, অফ দ্যা পিপল ভাবধারাকে বাস্তবায়িত করতে। একমাত্র বিজেপিই দেশমাতৃকার চরণের তলায় থেকে সেবা করতে পারে মানুষের। একমাত্র বিজেপি দেশের মানুষের কোথায় ভালো হবে, কোথায় খারাপ হবে সেটা বুঝতে পারে। একমাত্র বিজেপিই পারে দেশের মানুষের হিতে কাজ করতে।”