বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিছুদিন আগে মনোমালিন্যের কারণে তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর তখনই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে আসানসোল পুরোনিগমের প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি পদত্যাগ করেছিলেন পুরো প্রশাসক এবং তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকে। তবে সেই মনোমালিন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মিটে যায়।
কিছুদিন আগেই সবাই ভেবেছিল শুভেন্দু অধিকারীর পড়বেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু সমস্যার দিন রাতেই আসানসোলের তৃণমূল নেতা কলকাতায় এসে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এর সাথে বৈঠক করেন। আর বৈঠক করে বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছিল। দোষটা আমার। আমি তৃণমূলেই থাকবো। আমি দিদিকে কষ্ট দিয়ে বাঁচতে পারব না।” তখনকার জন্য ব্যাপারটি নিয়ে সব শান্ত হয়ে গেল আবারও প্রসঙ্গটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সায়ন্তন বসু ও অগ্নিমিত্রা পলের শোকজের পর।
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে সায়ন্তন বসু ও অগ্নিমিত্রা পাল বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তারা বলেছিলেন জিতেন্দ্র বিজেপিতে আসতে চাইলে বিজেপিকে চায় না। আর তার জেরেই শোকজ নোটিশ পায় সায়ন্তন বসু ও অগ্নিমিত্রা পাল। এরপর জিতেন্দ্র তিওয়ারি ফেসবুকে পোস্ট করেন, “রাজনীতিতে পূর্ণচ্ছেদ বলে কিছু হয়না। কমা, কোলনস ও সেমিকোলন হয়।” এই পোস্ট ঘিরে আবারও শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই মনে করেন হয়তো আবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিতে যাওয়ার জন্য ঝুঁকছে।
অবশ্য সময় নষ্ট না করে জল্পনা শুরু হতেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি টুইট করে তার রাজনৈতিক অবস্থান জানিয়ে দেয়। তিনি টুইটে লিখেছেন, “আমি দিদির সাথে ছিলাম। আমি দিদির সাথে আছি। এবং আমি দিদির সাথে থাকবো। যারা রাজনীতিতে জল্পনা সৃষ্টি করে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছেন তাদের প্ল্যান আবার ভেস্তে দিলাম আমি।”
https://twitter.com/JitendraAsansol/status/1341981873057058816?s=20