নির্বাচনী মাস্টারস্ট্রোক ঘাসফুল শিবিরের! তৃণমূল জিতলেই দুয়ারে পৌঁছে যাবে রেশনের চাল-গম
আগামীকাল ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। সেই সাথে তারা জিতলে সাধারণ মানুষ কি সুযোগ সুবিধা পাবে তার ইস্তেহার প্রকাশ পাবে খুব শীঘ্রই। তবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার বাংলায় পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই নির্বাচনী ইস্তেহারে যে চমক পাওয়া যাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ ছিল না বঙ্গবাসীর। এবার রাজ্যের শাসক দল ঘোষণা করেছে যে তারা একুশে বিধানসভা নির্বাচনে জিতলে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে সরকারের রেশন। আসলে বারংবার রেশন দুর্নীতিতে নিজেদের নাম জড়ানো থেকে বিরত করতে এমনটা করছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানা গেছে। তবে নির্বাচনের আগে এমন ঘোষণা যে ঘাসফুল শিবিরের মাস্টারস্ট্রোক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এবার তৃণমূল কংগ্রেস পুনর্নির্বাচিত হলে দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু হবে। সেক্ষেত্রে রেশন তুলতে আর কার্ড নিয়ে রেশন দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। বরং খোদ রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের বাড়িতে দায়িত্ব নিয়ে রেশন পাঠিয়ে দেবে। আসলে আগামীকাল ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের একুশে নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করবেন। তারই ছোট্ট এক চমক হল এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প। তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে তাদের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর কাছে বেশ আকর্ষণীয় লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ত্রাণ ও রেশন চুরি করার অভিযোগ উঠেছিল। একুশে নির্বাচনে বিরোধীপক্ষরা ঘাসফুল শিবিরকে আক্রমণ করার জন্য রেশনচোর বলে অভিহিত করেছিল। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে জানিয়ে দিয়েছে যে নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে রেশন।