স্টেশনে ট্রেন এসে দাঁড়ালে তখনই যাত্রীদের ছোটাছুটি পড়ে যায় কোন কামরায় উঠতে হবে সেই নিয়ে। কেউ রয়েছেন অসুস্থ, কেউ আবার বিকলাঙ্গ, আবার কারো রিজার্ভেশন নেই। এমন নানা মানুষ সফর করার জন্য একসাথেই ট্রেন ব্যবহার করে থাকেন। তবে, ট্রেনে সমস্ত কামরার বাইরে কিন্তু একই রকম লেখা কিংবা চিহ্ন থাকে না। অনেক সময় বিভিন্ন রকম চিহ্ন আপনারা দেখতে পাবেন বিভিন্ন কামরার বাইরে। অনেক সময় ট্রেনের গায়ে বিশেষ ধরনের ডোরাকাটা চিহ্ন থাকে। কিন্তু আপনারা কি জানেন, এই ডোরাকাটা চিহ্নের পিছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই কারণ।
দূরপাল্লার নীল ট্রেনে কোন কামরার শেষের দিকে নীলের উপরে সাদা ডোরা দেখা যায়। এর অর্থ হল ওই কামরাটি অসংরক্ষিত যাত্রীদের জন্য। যাদের রিজার্ভেশন নেই তারা ট্রেনে ঢোকার সময় নজর রাখলে দেখতে পাবেন এই নীলের উপরে সাদা ডোরা। সেক্ষেত্রে তাকে আর খুঁজে বেড়াতে হবে না ট্রেনের জেনারেল কামরা কোনটা। এমন ভাবেই দূরপাল্লার নীল ট্রেনে কোনও কামরার শেষের অংশে নীলের উপরে হলুদ রঙের ডোরা দেখা যায়। এটা যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখেই আঁকা হয়ে থাকে।
নীলের উপরে হলুদ রঙের ডোরা থাকার অর্থ হলো এই কামরাটি অসুস্থ বা বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এমন কিছু সুবিধা রয়েছে যেগুলি সাধারণ মানুষের বিশেষ কাজে লাগে না। ফলে এমন মানুষ ওই কামরাতে সফর করবেন যাদের শরীরে অসুবিধা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের আর নতুন করে কামরা খুঁজতে হবে না। আবার লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে মুম্বাইতে ধূসরের উপরে সবুজ ডোরা দেখা যায় কয়েকটি কামরায়। এর অর্থ হলো ওই কামরাটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সহজ কথায় এটা মহিলা কামরা।
আবার পশ্চিমবঙ্গের লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে কালো ডোরা দেখা যায়, এবং সেটাও মহিলা কামরা বোঝায়। এদিকে এমু বা মেমু ট্রেনে অনেক সময়ে লাল রঙের ডোরা নজরে পরে। এই লাল ডোরার অর্থ হলো এটি ফাস্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্ট বা প্রথম শ্রেণীর কামরা।