মমতা vs শুভেন্দু : ‘নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়তে চাই’
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একুশে বিধানসভা নির্বাচনের নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী লড়াই হয়তো লড়তে পারেন
একুশে নির্বাচন এখন একজন দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে যাতে এবারের নির্বাচনে কোনো রকম খামতি না থাকে। অন্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে নির্বাচন অনেকটাই আলাদা ধরনের। এই বছর তৃণমূল বিজেপির মধ্যে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই বঙ্গবাসীর। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়ে একটি হেভিওয়েট নির্বাচন যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। অন্যদিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের জনসভা থেকে বলে দিয়েছিলেন, “নন্দীগ্রামে মমতাকে অন্তত হাফ লাখ ভোটে পরাজিত করব।”
এরই মধ্যে বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের বিধানসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করার জন্য দফায় দফায় বৈঠক করছে। এর মধ্যে দলীয় সূত্রে বিভিন্ন কথা শোনা গেলেও সবাই অপেক্ষা করছে কবে তৃণমূল ঘোষণা করবে যে মমতা নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়েছেন এবং অন্যদিকে বিজেপি ঘোষণা করবে যে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের প্রার্থী। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের এই নির্বাচনী লড়াই যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
ইতিমধ্যেই বিজেপি কোর বাংলার নেতৃত্বরা আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দের সাথে বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করার জন্য বৈঠক করছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত আছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ও গুরুত্বপূর্ণ শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য গতকাল ফের বলেছেন, “আমি নন্দীগ্রামের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবো। আপনারা সবাই নিশ্চিন্ত থাকবেন। হারাবো আমি। সে দলের প্রার্থী হই কি বা না হই। আর দলের প্রার্থী হলে আমি সরাসরি হারাবো। নন্দীগ্রাম তথা গোটা বাংলায় আমি পদ্ম ফোটাবো। এটা আমার দায়িত্ব।”