নিউজপলিটিক্সরাজ্য

উন্নয়নে বাধা রাজনীতি, সরকারী পদ থেকে ইস্তফা আসানসোলের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি

Advertisement

এইবার বিরোধী দলের নেতার অভিযোগ শোনা গেল তৃণমূলের মুখ্য পুরপ্রশাসকের মুখে। এইদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উন্নয়নে রাজনীতি এবং বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন আসানসোলের মুখ্য পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি অভিযোগ তোলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। প্রথমে অভিযোগ তোলেন পড়ে তিনি ইস্তফা দেন সরকারি পদ থেকে। এইদিন প্রথমে তিনি অভিযোগ তোলেন, মোদী সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের টাকা আসানসোলকে পাঠানো হয়নি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। যার ফলে ২০০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেননি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

রাজ্যে বিরোধী দল পুরসভা এবং পঞ্চায়েত সরকারি বঞ্চনার অভিযোগ আজ নতুন নয়। বহুবার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরনিগমের চেয়ার ম্যান অশোক ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে। এইবার অবিকল তারই সুর গাইতে শোনা গেল আসানসোল পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসকের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ থেকে আসানসোলবাসী বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে এই দিন রাজনৈতিক কারণে সরকারি মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তারপর সরকারি সুপারিশে প্রাপ্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আসানসোলের পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার সকালে রানিগঞ্জ মহিলার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এর পরেই তার ইস্তফার কথা শুনে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ইস্তফা পত্রে এইদিন নেতা লিখেছেন,”ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ব্যস্ততার জন্য রানিগঞ্জ মহিলা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি।”

অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিমকে পাঠানো চিঠির বিষয়কে নিয়ে এই দিন দিলীপ ঘোষ বলেন,”এতো দেখছি ভূতের মুখে রাম নাম। এতদিন তো এই অভিযোগ করত বিরোধীরা। এখন ভোটের মুখে মানুষের সামনে যেতে নিজের পিঠ বাঁচাতে এমন করছেন তৃণমূল নেতারা।”

Related Articles

Back to top button