Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

চিঠি প্রকাশ্যে না আনার দাবি ফিরহাদের, “উনি একা দলে থাকবেন, আর কাউকে থাকতে দেবেন না”, বক্তব্য জিতেনের

Updated :  Monday, December 14, 2020 7:31 PM

চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরি এইবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সাথে বিতর্কে জড়াতে দেখা গেল আসানসোলের বিধায়ক তথা মুখ্য পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তার দাবি, চিঠি ফাঁস করেছেন খোদ ফিরহাদ। জিতেনবাবুর চাঞ্চল্যকর দাবি, সবাইকে দল থেকে তাড়িয়ে একা রাজত্ব করার কথা ভাবছেন ফিরহাদ হাকিম।

এইদিন ফিরহাদের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমকে জিতেন্দ্র বলেন,”আসানসোলের কথা বললেই যদি উনি বলেন বিজেপির এজেন্ট, বেরিয়ে যান দল থেকে, এই ধরণের সরলীকরণ ঠিক নয়। আমরা আসানসোলে থাকি, এখানকার মানুষকে উত্তর দিতে হয় আমাদের।” নিজের দলের মন্ত্রীকে এইদিন কটাক্ষ করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তার বক্তব্য,” উনি দলনেত্রীকে যতটা ভালোবাসে আমরা, তার থেকে কম ভালোবাসিনা। ওনার সাথে বিজেপির যোগাযোগ করতে পারে, আমাদের সাথে কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে আমরা লড়াই করি। আমাকে এইসব জ্ঞান দেবেন না।”

চিঠি তিনি ফাঁস করেননি বলে এইদিন দাবি করেছেন আসানসোলের বিধায়ক। তার বক্তব্য,”আমি তো আমার মন্ত্রীকে কেবল চিঠি দিয়েছে। বাইরের কাউকে বলিনি। ৬-৭ বার মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আমার মতামত জানিয়েছি । আমাকে ডেকে কথা বললেই তো সব মিটে যেত। সংবাদমাধ্যমে উনি এইসব কথা বলতে গেলেন কেন? আমরা সবই বুঝি, শুধু উনি একা দলে থাকবেন, আর কাউকেই থাকতে দেবন না।”

সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে তিওয়ারির পাঠানো চিঠির বয়ান। সেখানে আসানসোলে পাঠানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ২,০০০ কোটি টাকার বঞ্চনার বিষয়ে রাজ্য সরকারের দিকে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তিওয়ারিকে। এইদিন তিনি কাঠগড়ায় তোলেন ফিরহাদ হাকিমকে। তার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২,০০০ কোটি টাকা। রাজনৈতিক কারণে সেই টাকা পায়নি আসানসোলের মানুষ। বদলে ক্ষতিপূরণ দেবেন বলেছিল ফিরহাদ হাকিম, এমনটাও লেখা ছিল চিঠিতে। কিন্তু তা ও দেওয়া হয়নি।

এই চিঠির সাথে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। সমস্যা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এই দিন রাজনৈতিক কারণে সরকারি মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তারপর সরকারি সুপারিশে প্রাপ্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আসানসোলের পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার সকালে রানিগঞ্জ মহিলার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এর পরেই তার ইস্তফার কথা শুনে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ইস্তফা পত্রে এইদিন নেতা লিখেছেন,”ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ব্যস্ততার জন্য রানিগঞ্জ মহিলা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি।”

অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিমকে পাঠানো চিঠির বিষয়কে নিয়ে এই দিন দিলীপ ঘোষ বলেন,”এতো দেখছি ভূতের মুখে রাম নাম। এতদিন তো এই অভিযোগ করত বিরোধীরা। এখন ভোটের মুখে মানুষের সামনে যেতে নিজের পিঠ বাঁচাতে এমন করছেন তৃণমূল নেতারা।”