১১ই নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে মেগা শো করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেছিলেন,”আমি এই রাজ্যের মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ও তাড়িয়ে দেননি আমায়। আমিও ছেড়ে দেইনি দল।” আর অন্যদিকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বলতে দেখা গিয়েছে,”তৃণমূল মমতার দল নয়। আর এই দল এখন শুভেন্দু অধিকারীর দলও নয়। কোনও ব্যক্তি নিজের আত্মসম্মান নিয়ে থাকতে পারবেন না এই দলে। তাই তিনিও বিদায় জানাচ্ছেন দলকে।”
এইদিন শাসক দিল বিশেষত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন,”তৃণমূলের চাবিকাঠি এখন রয়েছে ভাইপোর হাতে। সেই ভাইপো কি কাজ করছে? গরু পাচার, কয়লা চুরু এবং বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানের টাকা সরাসরি যায় ভাইপোর কাছে।” এইদিন নেতা কটাক্ষ করে বলেন,” ৮ মাস এখনও সময় আছে। যতটা পারেন লুঠে নিন। কিন্তু এই টাকা দিয়ে হবে কি? যখন সিবিআই ধরবে তখন জেলে তো কোনও টাকাই কাজে আসবেনা।”
অন্যদিকে আজ জোড়াফুল সরকারকে চাল চোর বলে কটাক্ষ করেন বিজয়বর্গীয়। তার বক্তব্য,”এই চাল চোর সরকার কেবল চালের চুরি ই নয়, ক্ষতিপূরণের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন তারা। আর অন্যদিকে দেখুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মবিশ্বাস বলে আর কিছু নেই। পুরো দলকে তুলে তুলে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের হাতে।”
এইদিন সিএএ নিয়ে ও কথা বলতে দেখা গেছে বিজেপি নেতাকে। তিনি বলেন,”আমাদের দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ আইন লাগু করেছেন। যে সব হিন্দুরা শরণার্থী হয়ে রয়েছেন তাদের নাগরিকত্ব দেবে এই সিএএ আইন। আর সেই কাজ করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখুন, এনাদের ই বলছেন বহিরাগত।”
এইদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কৈলাস। তিনি বলেন,” তাহলে আপনার আপন হল সব রোহিঙ্গারা। যারা দেশে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ছড়াচ্ছে জাল নোট। আর ইনিই অমিত শাহ কে বহিরাগত বলছেন।”