১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সমস্ত ফ্রন্টলাইন কোভিড যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু টিকাকরণ প্রক্রিয়ার প্রথম দিনেই দেখা গিয়েছে রাজ্যের অনেক জায়গায় তৃণমূল নেতারা ভ্যাকসিন নিয়েছে। আজ অর্থাৎ রবিবার এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) এবং বিজেপি বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijaybarghya)। বাবুল সুপ্রিয় আজ বলেছেন, “কোন একটা রাজনৈতিক দল আদর্শগতভাবে অধোগামী হওয়ার নিদর্শন এটাই।” অন্যদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় শাসক শিবিরকে “ভ্যাকসিন চোর” বলে অভিহিত করেছে।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাজ্যে করণা টিকাকরন চালু হলে প্রথমেই বিতর্কের সৃষ্টি হয় আলিপুরদুয়ারে টিকা নেওয়ার লিস্টে প্রথম নাম এক তৃণমূল নেতার থাকায়। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তীর নাম ভ্যাকসিন নেওয়ার লিস্টে ছিল। এছাড়াও সারাদিনে বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ককে টিকা নিতে দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ঘটনার নিন্দা করে বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, “জনসমক্ষে বিধায়কদের নিয়ে সমালোচনা চলছে তাতেও তাদের অনুতাপ নেই। দলটার আদর্শ বিসর্জন গেছে। তবে বিজেপির আদর্শ একটু অন্যরকম। সবার প্রথমে সাফাই বন্ধু, তারপর ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা টীকা নেবে। তারপর নেবে নেতা-মন্ত্রীরা। এটাই বিজেপির আদর্শ।”
অন্যদিকে বিজেপির বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগেছেন। কিছুদিন আগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে চাল চোর, ত্রিপল চোর বলে কটাক্ষ করেছিল। ফের আজ একই সুরে শাসকদলকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় “ভ্যাকসিন চোর” বলে বিদ্রুপ করেছে। এছাড়াও বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্য বলেছে, “প্রথমে তারা গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ রেশন চুরি করেছিল। তারপর আমফানের সময় অনুদান চুরি করেছিল। আর এখন ভ্যাকসিন চুরি করছে। একমাত্র পিসির তৃণমূল এরকম বিরল প্রতিভার পরিচয় দিতে পারে।”