এখনও পর্যন্ত সুশান্ত কাণ্ডে উচ্চস্বরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলিউড কুইন। তিনিই প্রথম জানান যে, সুশান্তের মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা হতে পারে না, হতে পারে এটি পরিকল্পিত খুন। গোটা বলিউড চুপ থাকলেও একমাত্র কঙ্গনা রানাউত সুশান্ত কেসে সরব থেকেছেন।
সিবিআই এর তদন্তের জেরে মাদক প্রসঙ্গ উঠলেই কঙ্গনা আবারও সরব হন। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, বলিউডের অধিকাংশ অভিনেতা নিষিদ্ধ মাদক নেন এবং বিভিন্ন হাউস পার্টিতে মাদকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয়।
এই প্রসঙ্গে কঙ্গনা রানাউত বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেতা ও পরিচালকের নাম তুলে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর টিমকে ট্যাগ করে। এমনকি কঙ্গনা এও বলেছিলেন যে, তাঁকেও মাদক দেওয়া হত এবং একজন অভিনেতার নাম না করে তিনি বলেন যে সেই অভিনেতা তাঁকে মাদকে আসক্ত করিয়ে যৌন লাঞ্ছনা ও নিপীড়ন চালিয়েছেন, পরিবর্তিতে অনুরাগ বসুর সহায়তায় বলিউডে পা রাখেন। কঙ্গনা তাঁর নিজ জীবনের কালিমাময় ঘটনাকে সবার সামনে রেখে সুশান্ত কেসে মাদকের ব্যবহার নিয়ে বিরধিতা এক উল্লেখযোগ্য বিষয়।
ঠিক এর মাঝেই কঙ্গনার সহ অভিনেতা ও প্রাক্তন জানান যে কঙ্গনা নিজেই মাদক সেবন করতেন এবং হ্যাশের নেশা কঙ্গনার জলভাত, এমনকী কোকেনের নেশাও তিনি করতেন বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনার প্রাক্তন অধ্যয়ন সুমন। এই অভিনেতা একটি সাক্ষাৎকারে এও বলেছেন যে অধ্যয়ন জানিয়েছেন, কঙ্গনা একসময় প্রতিদিন হ্যাশ খাওয়াতেন সকলকে, তবে শুধু হ্যাশ নয়, তার সঙ্গে কোকেন দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন কঙ্গনা। এছাড়া অধ্যয়ন নিজেও কঙ্গনার সঙ্গে ৪-৫ বার হ্যাশ নিয়েছেন, বলে জানিয়েছেন। যদিও কঙ্গনার সঙ্গে এই অভিনেতার সম্পর্ক খুব বেশিদিন গড়ায় নি, সম্পর্কের শুরুর দিকে নানান তিক্ততার কারণে এই সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।