দলবিরোধী কাজের জন্য এইবার রাজ্যের শাসক শিবির থেকে বহিষ্কার করা হল নেতা কনিষ্ক পণ্ডাকে। তিনি ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক। সম্প্রতি বেশ অনেকটাই বেসুরো হতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের স্বাস্থ্যসাথী নিয়েও। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর এক সহায়তা কেন্দ্র হতে কনিষ্ক পণ্ডা বলেছিলেন,যতদিন না নবান্ন থেকে মমতা সরকার সরছে, ততদিন পর্যন্ত দাদার এই সহায়তা কেন্দ্র চলবে। দিদি আপনি রেডি হোন। মেদিনীপুরের গামছা পরা এই ছেলেটা লড়বে আপনার বিরুদ্ধে। এইদিন নড্ডা আক্রমণের প্রসঙ্গেও কথা বলেন পণ্ডা। তার বক্তব্য,”বাংলায় যেভাবে জেপি নড্ডার কনভয় হামলার মুখে পড়ল, তা খুবই লজ্জার।” এমন করা বার্তার পরে রবিবার তাকে বহিষ্কার করা হয় তৃণমূল থেকে।
প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর জেলা সভাপতিদের সাথে বৈঠক চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা শিশির অধিকারীকে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নন্দীগ্রাম তথা গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে দলবিরোধী কাজ চলছে। তারপর ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল কণিষ্ক পণ্ডাকে।
উল্লেখ্য, শনিবার কাঁথিতে খোলা হয়েছিল শুভন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র। সেখানে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া রঙ। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কনিষ্ক পণ্ডাও। সেখানে তাকে আবারও দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে। সেখানে তিনি বলেছিলেন,”তৃণমূল তো ত্যাগী। সেই ত্যাগ বোঝাতেই গেরুয়া রঙ। যতদিন না আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে দিদিকে সরাতে পারছি। ততদিন চলবে এই আন্দোলন।”
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন কনিষ্ক। তার বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারীজে খুনের চক্রান্ত চলছে। আমার সূত্র থেকে আমরা খবর পেয়েছি। তার নিরাপত্তা প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে। ” সেই বিষয়ে তিনি কথা বলতে গিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে৷