কৌশিক পোল্ল্যে: লকডাউনের মাঝেই সরগরম বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া। জনপ্রিয় বাঙালি ইউটিউবার কিরন দত্তের বিরুদ্ধে পুলিশি এফআইআর দায়ের করেছেন একটি নিউজ পোর্টাল সংস্থা, সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। আসলে ব্যাপারখানা কী? একটু খোলসা করে জেনে নেওয়া যাক।
এই ঘটনার সঙ্গেই পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছেন আমাদের সকলের প্রিয় ভাইরাল সেনসেশন ‘চা কাকু’ ওরফে মৃদুল দেব। একটি নিউজ পোর্টাল সংস্থার দাবি তারা মৃদুল রায়ের স্টোরি সর্বপ্রথম কভার করেন এবং মৃদুলবাবুর ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রতিবেদনেই বাংলার ইউটিউবার কিরন দত্ত অশ্লীল মন্তব্য করেন এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই সংস্থা।
পোর্টালের দাবি ওই প্রতিবেদনটি একটি পুরুষ সাংবাদিক তৈরি করলেও ভাষ্যে থাকা মহিলা রিপোর্টারকে অকারনে আচমকাই নাকি আক্রমন করেন কিরন। মহিলার সম্পর্কে বহু অশালীন মন্তব্য করেন ওই ইউটিউবার এ অভিযোগ বারবার উঠেছে এবং পরে ওই পোর্টালের কমেন্টবক্স থেকে নিজের মন্তব্যটি ডিলিট করেন কিরন।
এরপর ‘বং গাই’ নিজেই তার কমেন্টটির স্ক্রিনশট সহ সমস্ত ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আনেন এবং পালটা অভিযোগ করেন ওই মহিলা সাংবাদিক এর আগে কিরনকে হেনস্তা করেছেন তার কুরুচিপূর্ন মন্তব্যের দ্বারা। এখানে কিরনের ভক্তরা তার সমর্থনে এসে জানান, নিউজ পোর্টালে এরকম কমেন্ট হাজারো আসে কিন্তু একজন পাবলিক ফিগার ইউটিউবারের প্রসঙ্গ টেনে তারা নাম করতে চাইছেন সোশ্যালের বাজারে, এমনটাই তাদের দাবি।
পরবর্তীতে একটি শো হাউস থেকে এই ইস্যুতে ভিডিও বানিয়ে কিরনের নামের পাশে ‘ক্ষমার অযোগ্য’ শব্দটির প্রযোগ করা হয় যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি বং গাই ভক্তরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, কিরন শুধু নিজের মতামত টুকু দিয়েছে এবং যদি কোনো কটু কথা তিনি বলেই থাকেন তাহলে সেই কমেন্টের স্ক্রিনশট তিনি কখনই পোস্ট হিসেবে দিতেন না।
যদিও মহিলা সাংবাদিকদের তরফে পুলিশি সাহায্যের আর্জি চাওয়া হয়েছে কিরনের বিরুদ্ধে। ‘বং গাই’ এর দোষ কতখানি, তা যাচাই করার আবেদন রেখেছেন ভক্তরা।