প্রথম ম্যাচে হারের পর দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করল কোলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এই মরসুমের প্রথম জয় হাসিল করল তারা। গতকাল আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জনি বেয়ারিস্টো কে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা।তবে এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মনীষ পান্ডে এবং ডেভিড ওয়ার্নারের মধ্যে ৩৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। অন্যদিকে তৃতীয় উইকেটের হয়ে ঋদ্ধিমান সাহা আর মণীষ পান্ডে ৩২ রান যোগ করেন। কিন্তু প্রথমের দিকে এত ধীরগতিতে খেলে হায়দ্রাবাদ যে পরে আর তা পুষিয়ে উঠতে পারেনি তারা।
২০ ওভারে মাত্র ১৪২ রানই তুলতে সক্ষম হয় তাঁরা। আজকের ম্যাচে খুব আঁটোসাঁটো বোলিং করে কেকেআর ,যার দৌলতেই বড় রান তুলতে বার্থ হয় হায়দ্রাবাদ। গত ম্যাচে বেশী রান দিয়ে সমালোচিত প্যাট কামিন্স আজ দারুন বল করেন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন বেয়ারিস্টোর মূল্যবান উইকেট। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কেকেআরের শুরুটাও ভালো হয়নি। ওপেনিং ব্যাটসম্যান সুনীল নারিনকে খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরৎ পাঠান খলিল আহমেদ। তবে এরপর ব্যাট করতে আসা নীতিশ রানা ১১ বলে ২২ রানের একটি বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন এনং শুভমান গিলের সঙ্গে ৩৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর ব্যাট করতে আসেন নাইট অধিনায়ক। কিন্তু তিনি খাতা খুলতে পারেন নি। রশিদ খানের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে।
এরপর অবশ্য ইয়োন মর্গ্যান এবং শুভমান গিল দুর্দান্ত ৯২ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ গড়েন যা কেকেআরের জয় সুনিশ্চিত করে। এইদুর্দান্ত পার্টনারশিপের ফলেই মাত্র ১৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে নিজেদের লক্ষে পৌঁছে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআর এর হয়ে ৬২ বলে ৭০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন শুভমান গিল। অন্যদিকে ২৯ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন ইয়ন মর্গ্যান। আজ আন্দ্রে রাসেল ব্যাট করার সুযোগ ই পাননি। এই জয়ের ফলে ২ পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে পৌঁছাল তারা। শীর্ষে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দু’ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ: ১৪২/৪(২০.০) মনীশ পান্ডে৫১(৩৮) ,ডেভিড ওয়ার্নার৩৬(৩০)। প্যাট কামিন্স ৪-০-১৯-১,বরুন চক্রবর্তী ৪-০-২৫-১
কোলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৪৫/৩(১৮.০) শুভমান গিল ৭০(৬২),ইয়ন মর্গান ৪২(২৯)। রশিদ খান ৪-০-২৫-১ , টি নটরাজন ৩-০-২৭-১