করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা থেকে কড়া লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই লকডাউন আগামী ৭ দিন পর্যন্ত চলবে। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ৫ জেলা থেকে মোট সংক্রমণের ৫০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রয়েছে। এই ৫ জেলা হল-কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলী।
কলকাতাতে মোট ২৫ টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। কলকাতাতে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে সমস্ত অফিস, পরিবহন ব্যবস্থা সব বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকবে। জমায়েত বন্ধ করার জন্য বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সব এলাকার জন্য এই লকডাউন নয়। শুধু কন্টেনমেন্ট জোনেই এই নিয়ম থাকবে। তবে এখন বাফার জোনগুলিকেও কন্টেনমেন্ট জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন হুঁশিয়ারির সঙ্গে স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সাতদিন প্রয়োজন ছাড়া কন্টেনমেন্টের জোনের লোকেদের বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে কেউ মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলেই পুলিশ তাঁকে ধরবে। সাথে সাথেই সেই ব্যক্তিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর সাথে তিনি এটাও বলেন যে তিনি চাইলে জরিমানা করতে পারেন। কিন্তু লকডাউনে মানুষের আর্থিক অবস্থা ঠিক নেই। এর মধ্যে ২০০০ টাকা জরিমানা করলে ভালো হবে না। তাই যারা মাস্ক পরবেন না। তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।