কনীনিকা ব্যানার্জী বড়পর্দা হোখ কিংবা ছোটপর্দা দু’জায়গাতেই এক পরিচিত মুখ। নায়িকা হিসেবে নয় বর্তমানে তিনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত দর্শকমহলে। তার অভিনয়ের গুণেই তিনি মানুষের মন জয় করেছেন শুরুর দিন থেকে। মাঝে মেয়ে কিয়ার জন্মানোর সময় অনেকদিনের বিরতিতে ছিলেন অভিনেত্রী। বর্তমানে নানা ফটোশুট ও ছোটপর্দায় ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় জগতে কামব্যাক করেছেন। বর্তমানে ‘আয় তবে সহচরী’ স্টার জলসার অন্যতম হিট ধারাবাহিক। ছক ভাঙা গল্পের জন্যই প্রথম থেকেই দর্শকমহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটি।
ক্রিসমাসের মরসুমে নিজের বাড়িতেই সুন্দরভাবে বড়দিন পালন করবেন কনীনিকা ব্যানার্জী। মেয়ে কিয়া জন্মানোর পরেই একটি ক্রিসমাস ট্রি কিনেছিলেন অভিনেত্রী। তার মেয়ের সাথেই এই গাছটিও বেড়ে উঠছে। অভিনেত্রীর কথায়, মেয়ে যাতে সমস্ত উৎসব ঠিকভাবে চিনতে পারে এবং বুঝতে পারে তার জন্যই এই গাছ কিনেছিলেন তিনি। তিনি এও জানিয়েছেন বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তাদের বাড়িতে বড়দিনের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি এবং তাঁর স্বামী নিজের হাতে সাজিয়েছেন সেই গাছ। এমনকি তার মেয়ে ইতিমধ্যেই স্যান্টাক্লজকে চিনতে শিখেছে, বুঝতে শিখেছে ‘জিংগেল বেল’ গানটাও।
অভিনেত্রী ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর জন্য কাজের ফাঁকেই ঘণ্টা, তারা, মোজা, উপহারের ছোট ছোট বাক্স, আলো আর বড় সান্তাক্লজ কিনে এনেছেন। কাজ থেকে ফিরে এসে অভিনেত্রী এবং তার স্বামী সুরজিৎ দুজনে মিলে এই সমস্ত জিনিস দিয়ে সাজিয়েছেন গাছটিকে। উল্লেখ্য তাদের একটি সুন্দর ছোট্ট বাগানও রয়েছে। এমনকি তিনি এও জানিয়েছেন, যদি সত্যিকারের বরফ পেতেন তাহলে তাও ছড়িয়ে দিতেন চারিদিকে, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। বাইরের মনোরম পরিবেশের পাশাপাশি অভিনেত্রীর বাড়ির মধ্যেও একেবারে বড়দিনের জমজমাটি পরিবেশ চলছে, তা বলাই বাহুল্য। এদিন মা ও মেয়ে সম্ভবত দুজনেই লাল রঙে সেজে উঠবেন। স্যান্টাক্লজ হিসেবে কিয়াকে নানা উপহার দিয়েছেন কনীনিকা ও সুরজিৎ, সেকথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে অভিনেত্রীর বাড়িতে বড়দিনের উৎসব একেবারে জমে যাবে, তা আয়োজনেই স্পষ্ট।