
মাত্র কয়েক বছর আগেও ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। অথচ সেই কুলদীপ যাদবই আজ এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের জয়ের নেপথ্য নায়ক। প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিংয়ে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন বামহাতি স্পিনার।
প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত সূচনা
২০২৫ সালের এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত মুখোমুখি হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের। ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। ২৭ বলেই ম্যাচ জিতে নেওয়া এই জয়কে বলা হচ্ছে এশিয়া কাপ ইতিহাসের অন্যতম দ্রুততম সাফল্য। এর মূল কারিগর ছিলেন কুলদীপ যাদব, যিনি মাত্র ৭ রান খরচায় চারটি উইকেট দখল করেন। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তাকেই ম্যাচসেরা ঘোষণা করা হয়।
রেকর্ডবুকে কুলদীপ
কুলদীপের এই বোলিং ফিগার তাকে এশিয়া কাপের ইতিহাসে সেরা স্পিনার হিসেবে এক নম্বরে নিয়ে এসেছে। পাকিস্তানের শাদাব খানকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। শাদাব ২০২২ সালে হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৮ রানে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। তবে সব ধরনের বোলারদের মধ্যে এখনও শীর্ষে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, যিনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
অতীতের অন্ধকার সময়
কুলদীপ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি ভীষণ হতাশায় ভুগছিলেন। উত্তরপ্রদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সুযোগ না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এমনকি আত্মহত্যার কথাও মাথায় এসেছিল। কিন্তু পরিবার ও কোচের অনুপ্রেরণায় তিনি সেই চিন্তা ঝেড়ে ফেলেন। কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করেন। আজকের এই সাফল্য তার সেই লড়াইয়ের ফল।
দলে জায়গা নিয়ে টানাপোড়েন
অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও কুলদীপকে বারবার প্লেয়িং ইলেভেন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি টেস্টেই তিনি ছিলেন বেঞ্চে। অথচ তার তীক্ষ্ণ স্পিনই ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছিল। তবুও সুযোগ কম পেয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপে সুযোগ পেতেই নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করলেন।
পাকিস্তান ম্যাচে প্রত্যাশা
১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ম্যাচ রয়েছে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ম্যাচেও কুলদীপের ভূমিকা হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার ধারালো স্পিন পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইন-আপকে সমস্যায় ফেলতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।