“বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি যুক্ত ছিলেন প্রতিটি চিট ফান্ডের সাথে। তবে কেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হবেনা? আর বিলম্ব না করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি চাই।” এইদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই শোনা গেল কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh) মুখে। চিটফান্ড মামলায় কাঠগড়ায় তুললেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এইদিন তিনি একের পর এক বোমা দাগলেন শোভনের বিপক্ষে।
এইদি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন,”আইকোরের হায়ে প্রশ্ন করেছেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। আইকোরের প্রোমোটার ছিলেন তিনি। সারদা কাণ্ডে এক কোটি টাকা পেয়েছেন কে? বাঁচার জন্য এখন বিজেপিতে গিয়েছেন মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা। এক মাত্র রাজীব কুমারের জন্যই মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। আর এরাই দিদিকে ভুল বুঝিয়ে গিয়েছেন দিনের পর দিন। কখনও আসল ঘটনা জানতেই দেন নি। আর এখন আঘাত করছেন মানুসিক দিক থেকে।”
এইদিন নিজের বাক্যবাণে তীব্র কটাক্ষের সাথে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিধতে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে। তার বক্তব্য,”গতকাল সভায় শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছাড়লেন কেন বললেন। বৈশাখী কত ভালো তা ও বলেছেন। কিন্তু বিজেপিতে কেন এলেন? তা বলতে পারেননি। বিজেপির কাছে আমার প্রশ্ন হল, বিজেপিই বা এদের কেন নিচ্ছে? এতটা বাজে অবস্থা দলের? নেতৃত্ব দেওয়ার মতো আপনাদের দলে কেউ নেই?
প্রসঙ্গত, দলে তিনি এসেছেন ২০১৯ সালের আগস্টে। তার প্রায় দেড় বছর পর বিজেপির প্রকাশ্য কর্মসুচিতে দেখা গিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chaterjee)এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee)। এইদিন গোলপার্ক থেকে সেলিমিপুর পর্যন্ত রোড শো করেন শোভন-বৈশাখী। তার আগে বহিরাগত তত্ত্বকে নিয়ে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে দেখা গেল বিজেপি নেতা তথা কলকাতার পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তার প্রথম কর্মসূচিতে তিনি বলেন,”যারা বহিরাগত বলছেন, তারাই তো একদিন সর্ব ভারতীয় পার্টির শরিক দল ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টির সহযোগিতায় জন্ম হয়েছিল তাদের দলের। আজকে বহিরাগত বলার আগে নিজেদের উচিৎ একবার আয়নায় দাঁড়ানো এবং দেখা।”